অবতক খবর,২০ জুলাই,মলয় দে নদীয়া ;- শান্তিপুর বিধানসভায় বিগত পঞ্চায়েত এবং পরবর্তীতে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবি হলেও এক এক করে আবারো জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা বিধায়কের।
এর আগেও বিভিন্ন পঞ্চায়েতে দু একটি ইতস্তত যোগদান হলেও বড়সড়ো পরিবর্তন ঘটাতে পারেননি তিনি তবে এবারে বিধানসভার অন্তর্গত চারটি বিধানসভার মধ্যে গয়েশপুর পঞ্চায়েত তৃণমূলের বোর্ড গড়া নিশ্চিত করে ফেললেন বিজেপি প্রধানের তৃণমূলে যোগদানের ফলে। প্রসঙ্গত মোট ২১ টা সদস্য বিশিষ্ট এই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের নয় জন সদস্য বিজেপি ১০ , একজন সিপিএম এবং একজন নির্দল জয়ী সদস্য ছিলেন।
পরবর্তীতে নির্দল এবং সিপিএম তৃণমূলে যোগ দেওয়া এবং আজকের বিজেপি প্রধান যোগ দেয়ার ফলে বোর্ড তৃণমূল পরিচালিত হবে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর বর্তমান উপপ্রধান শিপ্রা মন্ডল তৃণমূল থেকে জয়ী হলেও বিজেপি প্রধানের সাথে সে সময় তাল মিলিয়ে তিনি নিজেকে বিজেপি বলেছিলেন তবে আজ যোগদান করবে সে কথার সদুত্তর পাওয়া যায়নি কারো কাছ থেকে।
বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী বলেন শুধু এই পঞ্চায়েত নয় আরো বড় কিছু অপেক্ষা করছে, যদিও পঞ্চায়েত সমিতি গত পঞ্চায়েতে এই প্রথম তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছে তা পুনরুদ্ধার প্রসঙ্গে তিনি এড়িয়ে গেলেও বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আগামী দিন এরকম বড়সড় চমক রয়েছে সারা রাজ্য জুড়ে সেক্ষেত্রে শান্তিপুরেও ব্যতিক্রম নয়।
সদ্য তৃণমূলে যোগদান করা বিজেপি প্রধান শ্যামল ঘোষ বলেন, প্রধান কারণ অনৈতিকভাবে বিজেপি দলীয়ভাবে তার উপর বিভিন্ন ধরনের চাপ সৃষ্টি করতেন নেতৃত্ব, এ বিষয়ে উচ্চ নেতৃত্ব কে জানিও কোন ফল মেলেনি। অন্যদিকে স্রোতের বিরুদ্ধে অর্থাৎ সরকারের বিপক্ষে থাকার কারণে বিভিন্ন উন্নয়ন ত্বরান্বিত হতো। অথচ সাধারণ মানুষ জনপ্রতিনিধি বানিয়েছেন এই গুরু দায়িত্ব পালনের জন্য সেক্ষেত্রে তাদের জন্যই এই সিদ্ধান্ত। যদিও যোগদানের পূর্বে তাদের সঙ্গে কোনরূপ আলোচনা তিনি করেননি একথা তার মুখের কথাটি স্পষ্ট।
অন্যদিকে অঞ্চলের অঞ্চল কনভেনার সানোয়ার মন্ডল এক প্রশ্নের উত্তরে জানান ব্যক্তিগত বিরোধিতা তার সঙ্গে ছিল না দলীয় মতাদর্শ গত ভাবে পার্থক্য ছিলো। এখন সকলে মিলে একসাথে কাজ করলে পঞ্চায়েতের আরো বহু উন্নয়ন সম্ভব হবে উপকৃত হবে সাধারণ মানুষ।