ফ্যাসিবাদের হাতে ৮ মার্চ লেখক সোমেন চন্দ হয়ে গিয়েছিল খুন। চোখ খুলুন।
আর কত ঘুম? জাগুন! জাগুন!

লেখকের খুন মাটি চেটে খায়
তমাল সাহা

আরে সোমেনকে চেনেন না?
একুশ বছর ন মাস পনেরো দিনের মাত্র জীবন!
তাকে চেনেন না,জানেন না?

আরে সোমেন তো বাঙালি!
তার হাতে তো কিছুই ছিলনা।
সম্বল ছিল কিছু গল্প একটি উপন্যাস।
আরে তার তো শুধু কলমই ছিল না।
ছিল পতাকা ও মিছিলে যোগ দেবার ইচ্ছে।
শুধু কলমে কিছু হয় না,
সোমেন বলেছিল, লাল ঝান্ডা সে বইবে, সঙ্গে থাকবে রেলওয়ে শ্রমিকেরা।

প্রকাশ্যে এক লেখক
সংহত করছে শ্রমিকদের মিছিল!
ফ্যাসিবাদীরা আঁতকে উঠলো।
ব্যাস! আর যায় কোথায়?
সোজাসুজি তলপেটে ঢুকে গেল ফ্যাসিবাদি ছুরি।
তল পেটের ওপরে পেট–
ঢুকে গেল ভোজালি।
রক্তস্রোত বইতে লাগলো,
আছড়ে পড়ল সোমেনের দেহ মাটিতে।
নাড়িভুঁড়িগুলো সব বেরিয়ে ঘাসের কুটোকাটা মেখে নিল।
তারপর, এই চোখ দিয়ে তুমি দেখো, শালা!
সুতরাং চোখ দুটো উপড়ে নেয়া হলো শাবলে।
আরে, তুমি প্রতিবাদ জানাবে কন্ঠস্বরে!
জিভ টেনে বার করে ভোজালির কোপে
ফালা ফালা করে দেওয়া হলো।

মাথার উপরে লাল শিমুল, রক্ত পলাশ
আকাশের নিচে পৈশাচিক উল্লাস।
দিবালোকে নেমে এলো অমাবস‌্যার সর্বনাশ!

ভারতবর্ষে‌র বুকে
এ কোন শ্বাসপতনের দীর্ঘশ্বাস?
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রথম শহিদ
সোমেন চন্দ লিখলো ইতিহাস।

তুমি পালাবে কোথায়?
ফ্যাসিবাদের হাতে লেখকের খুন
মাটি চেটে খায়!