লাল পাঞ্জাবি
তমাল সাহা

খুব গরম পড়েছিল। গরমকাল ছিল। স্বাভাবিকভাবেই গরম পড়েছিল। এমনিতেও পরিবেশ উত্তপ্ত ছিল।

২০ মে আমার সঙ্গে ভোট দিতে গিয়েছিল।
সেদিন বলেছিল, তুমি তো ভোট দিতে যাও না, এবার এতো পীড়াপীড়ি করছ কেন?

আমি বলি, বোধ করি এটাই আমার শেষ ভোট। সামনের পাঁচ বছর তো স্বাভাবিক নিয়মেই আমার আর বেঁচে
থাকার কথা নয়।

ডিপ হালকা মিলিয়ে আমার লাল রঙের তিনতে পাঞ্জাবি আছে।
তার একটি পাঞ্জাবি পরলুম।
ও বলে, আজ এই ভোটের দিন আবার লাল পাঞ্জাবি পরতে যাচ্ছ কেন? তুমি সবসময় একটা গোল বাঁধাতে চাও!

আমি বলি, ভোটের সঙ্গে লাল পাঞ্জাবির সম্পর্ক কি?
ও বলে, সম্পর্ক আছে।

ভোটকেন্দ্রে যাবার সময় দেখি নজরদাররা দূরে দাঁড়িয়ে। তির্যক ভঙ্গিতে বলে, দেখো লাল মাকু যাচ্ছে ভোট দিতে।
ওর মুখ ঘেমে নেয়ে লাল।
ও আমার দিকে নীরবে তাকালো।

বাড়ি ফিরে গজর গজর করতে লাগলো।
তোমার ওই লাল পাঞ্জাবির জন্য শুনতে হলো তির্যক কথা। এক রঙের জন্য এতো অপমান!

আমি বলি, অন্য কোনো রঙ নিয়ে এমন কথা ওঠে না, এটাই লাল রঙের সম্মান!