অবতক খবর,২৩ ডিসেম্বর: রোগ যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী যুবক। এদিন অনলাইন ডেলিভারি বয় হাঁকডাক করে সাড়া পেলেন না। পরে জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই যুবকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া গেল। কয়েকমাস ধরে অসুস্থতায় ভূগছিলেন ওই যুবক।
শুক্রবার সকালের ওই ঘটনা মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর থানার ভরতপুর অগ্রদূত ক্লাব সংলগ্ন এলাকায়। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম পরিমল মাঝি(৩০)। এই ঘটনায় পুলিস একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিস মৃতের হাতে লেখা একটি সুইসাইডাল নোটও উদ্ধার করেছে।
ওই সুইসাইডালে লেখা রয়েছে ‘বাবা মা তোমরা ভাল থেকো। আমি আমার বুকের ব্যথা আর সহ্য করতে না পেরে এই রাস্তা বেছে নিলাম। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ি নয়’। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক আগে ফুলের ব্যবসা করলেও কয়েকবছর ধরে গ্রামের একটি ছাপাখানায় কাজ করতেন। এদিকে কয়েকমাস ধরে যুবক বুকের ব্যথায় ভূগছিলেন। এমনকি বৃহস্পতিবারও তিনি এক চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। এমন অবস্থায় এদিন সকাল ১১টা নাগাদ এক অনলাইন ডেলিভারি বয় যুবকের মোবাইলে কল করে তাঁর পার্সেল ডেলিভারি দিতে আসেন।
কিন্তু বাড়িতে আসার পরেই যুবকের মোবাইলের সুইচ বন্ধ শোনা যায়। এরপর যুবকের বাড়িতে ডেলিভারি বয় হাঁকডাক শুরু করেন। কিন্তু সাড়া পাওয়া যায়নি। এরপর দরজা বন্ধ ঘরের জানালা ভেঙে প্রতিবেশিরা ভিতরে প্রবেশ করেন। সেইসময় দেখা যায় ছাদের একটি লোহার হুঁকে যুবক গলায় শাড়ির ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ভরতপুর গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে তাঁকে কান্দি মহকুমা হাসপাতাল রেফার করা হলে রাস্তাতেই মারা যান। যুবকের মা ক্ষেন্তি মাঝি বলেন, ছেলে চারমাস ধরে বুকের ব্যাথায় ভূগছিল। এদিন ১০ মিনিটের জন্য ছেলেকে ছেড়ে পুকুরে গিয়েছিলাম। ফিরে এসে সাড়া না পেয়ে জানালা ভাঙা হয়। এরপর ছেলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে পুলিসে খবর দেওয়া হয়।