অবতক খবর,১৭ ডিসেম্বর,মালদা:- রেললাইন থেকে উদ্ধার যুবকের ছিন্ন বিচ্ছিন্ন দেহ। গ্রামের জালসার আসর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে আরপিএফ এবং স্থানীয় পুলিশ।ব্যাপক উত্তেজনা এলাকায়। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন কারণে শশুর বাড়ির লোকেদের সঙ্গে ওই যুবকের গন্ডগোল ছিল। স্ত্রীর অশ্লীল ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার জন্য কিছুদিন আগে ওই যুবক জেলও খাটে।

সেই বিবাদের জেরেই কি খুন? শ্বশুরবাড়ি থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে রেল লাইনে যুবকের ছিন্ন বিচ্ছিন্ন দেহ উদ্ধার নিয়ে আরো জোড়ালো খুনের জল্পনা। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত কনকনিয়া রেল গেটের পাশের ঘটনা। রবিবার সকালে কনকনিয়া রেলগেটের পাশে রেললাইনে এক যুবকের মুন্ডুহীন ছিন্ন বিচ্ছিন্ন দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়দের এই দেহ নজরে আসতেই খবর দেওয়া হয় রেল পুলিশ এবং হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশকে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃত যুবকের নাম কাজিরুল ইসলাম (২৫)। বাড়ি ওই এলাকারই কাতলামারী গ্রামে। মৃতের পরিবারের লোকের অভিযোগ তার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা তাকে জালসা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে। মৃতের পরিবারের লোকের দাবি গতকাল রাতে কাজীরুল টেটিয়া গ্রামে জালসা দেখতে এসেছিল।

সেই গ্রামে রয়েছে তার স্ত্রী জাসমিনারা খাতুনের এক আত্মীয়ের বাড়ি। জালসা থেকে তাকে জাসমিনারার মামা এবং মেসো তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তারপর শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সকলে মিলে তাকে খুন করে রেললাইনে ফেলে দেয়। কাজিরুলের পরিবারের দাবি তার স্ত্রীর অন্যত্র সম্পর্ক ছিল। এই নিয়েই বিবাদ চলছিল। তার স্ত্রী বাবার বাড়িতেই থাকতো। এর আগেও তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কাজিরুলকে মারধর করেছে এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। এক মাস জেল খাটতে হয়েছিল কাজিরুলকে। ঘটনাস্থলে রয়েছে রেল পুলিশ এবং হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। সমগ্র ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।