রাষ্ট্রীয় চাবুক চলছে,চলছে যথেচ্ছাচার। নৈঃশব্দের রাজত্ব।চুপ কৌশলী বুদ্ধিজীবীগণ। রাষ্ট্রীয় উমেদাররা বলেছে,বহুৎ আচ্ছা! শুনুন কি চলছে…

রাষ্ট্র ও উমেদার
তমাল সাহা

রাষ্ট্র তো একা নয়,
তার পাশে থাকে অসংখ্য উমেদার।
তারা রাষ্ট্রের হয়ে কাজ করে চিরকাল।
ঘিরে ফেলে ঘরবাড়ি তোমার আমার।

এটাই তো ইতিহাস
কিছু কেনা লোক থাকে রাষ্ট্রের,
তারা বিদ্বজ্জন।
আগে তারা মুখোশে ঢাকা ছিল
মুখোশ সরিয়ে স্পষ্ট মুখ দেখায় এখন।
আরো কিছু বুদ্ধিজীবী থাকে,
বিষয়টি রাজনৈতিক স্পর্শকাতর বলে এড়িয়ে চলে যায়।
মিডিয়ায় বসে বসে টক শো,
গম্ভীর গম্ভীর জ্ঞানের কথা আওড়ায়।
এইসব বুদ্ধিজীবীরাও মাঝে মধ্যে রাষ্ট্রের কলকে পায়।
এক ছিলিম কৌশলী টানে বাতাসে ধোঁয়া ওড়ায়।
এটাই এখন বুদ্ধিজীবী শিল্পকলা—
বেশি উঁচু স্বরে কথা বোলো না,
ভেঙে যাবে গলা।
আরো ভালো তার চেয়ে হয়ে
থাকো নীরব নিথর,
বুকে বেঁধে রাখো জগদ্দল পাথর।

আমি তো শাসক, কত কিছুরই তো
নির্মাতা নই, এতো সঠিক।
কিন্তু এত মেলা উৎসবের
আয়োজন করে কে?
রাষ্ট্রচালনা করা কি শিল্প নয়?
আমিতো রাষ্ট্রেরই প্রতীক।
আমার শারীরিক বিভঙ্গ দেখালেই বেঠিক?
তোমরা বলতে পারো বিষয়টি রাজনৈতিক।
আমি শুধু রাষ্ট্রের নাকি,আমি
তো আন্তর্জাতিক!

রাষ্ট্র বলে আমিই সর্বস্ব,
সর্বত্র আমার জমি ক্ষেত চাষবাস।
তোমরা এককালে ছিলে শেকল বাঁধা ক্রীতদাস,
এখন তোমরা আরও একটি শিরোপা পেলে—
হে আমার প্রিয় দলদাস!