অবতক খবর,৫ মার্চ: শ্রী শ্রী রাম নবমী মহোৎসবের দ্বিতীয় বর্ষ উদযাপনের উপলক্ষে বহরমপুর থানা এলাকার রাজ্য সড়কের ওপর এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এই শোভাযাত্রাটি নিশাতবাগ ঘোষপাড়া থেকে শুরু হয়ে চুনাখালি পর্যন্ত গিয়ে পুনরায় নির্দিষ্ট গন্তব্যস্থলে পৌঁছায়। মোট ৩ কিলোমিটার পথজুড়ে এই শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে অংশ নেন মুর্শিদাবাদ বিধায়ক গৌরী শংকর ঘোষ সহ শত শত রামভক্ত।

এই মহোৎসব উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রা ধর্মীয় উন্মাদনার পাশাপাশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বও বহন করে। পথে পথে ভক্তরা ভজন-সংগীত পরিবেশন করেন এবং ধর্মীয় পতাকা হাতে নিয়ে মহোৎসবের আনন্দ ছড়িয়ে দেন। রামায়ণের মহিমা প্রচারের পাশাপাশি শোভাযাত্রায় ধর্মীয় মূল্যবোধের গুরুত্বও তুলে ধরা হয়। শোভাযাত্রার সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য বহরমপুর ও মুর্শিদাবাদ থানার পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, যাতে যান চলাচলের কোনো বিঘ্ন না ঘটে।

আগামীকাল, রবিবার সকাল দশটায় রামনবমীর মূল পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এই পূজার পর বিকেলে রামায়ণ পাঠ ও ভগৎ পাঠের আয়োজন করা হয়েছে। সন্ধ্যায় ভক্তদের জন্য প্রসাদ বিতরণ করা হবে এবং রাত্রিতে খিচুড়ি ভোজনের ব্যবস্থা থাকবে। রাম মন্দির কমিটির সদস্য ভাস্কর সরকার এই তথ্য জানিয়ে বলেন, “আমরা প্রত্যেক বছরই এই মহোৎসব আরও জাঁকজমকের সঙ্গে পালন করার চেষ্টা করছি, যাতে সকল ভক্ত একত্রিত হয়ে ভগবান শ্রীরামের আশীর্বাদ লাভ করতে পারেন।”

এই শোভাযাত্রার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিল মুর্শিদাবাদ বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষের উপস্থিতি। তিনি বলেন, “আজকের এই শোভাযাত্রার একমাত্র উদ্দেশ্য হলো আমাদের দেশকে শক্তিশালী করা, দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছানো এবং ভারত মাতাকে শ্রেষ্ঠ আসনে প্রতিষ্ঠিত করা। সেই লক্ষ্যেই আমরা রাম লীলা আরাধনায় ব্রতী হয়েছি।” বিধায়কের এই বক্তব্য ভক্তদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনার সঞ্চার করে।

শোভাযাত্রার সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে স্থানীয় প্রশাসন, মন্দির কমিটি ও ভক্তদের আন্তরিক প্রচেষ্টা লক্ষ করা গেছে। ধর্মীয় ও সামাজিক সমন্বয়ের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে এই রাম নবমী মহোৎসব ভবিষ্যতেও একই জাঁকজমকের সাথে পালিত হবে বলে আশা করা যায়।