যেভাবে ঘিরে ফেলেছে গ্রামকে গ্রাম।
রঘুবীর রক্কে করো, জয় শ্রীরাম!
অনেক তো লেখা হলো! এবার অন্তরের ভক্তি-শ্রদ্ধা মিশিয়ে একটা ধর্মকথা লিখি
রাম কথা
তমাল সাহা
রামমোহন বাবু আমাকে দেখে জয় শ্রীরাম! বলে সম্বোধন করে বললেন, আপনার নাম তো রামকৃষ্ণ! আপনার বাবার নাম তো রামপ্রসাদ!
আমি বলি, রাম রাম বাবু! আপনি আমাদের পরিবারের অ্যাতো রামায়ণ জানলেন কিভাবে?
উনি বললেন,আরো জানি, আপনাদের আদিবাস রামনগর। আপনার মায়ের নাম রামী। শুনেছি, রাম নবমী-তে নাকি তিনি জন্মেছিলেন।আপনার বাবা হরিসভায় রামগান গাইলেও নিয়মিত রাম খেতেন।
রাম খেতেন! মানে?
রাম দু প্রকার। সলিড রাম ও লিকুইড রাম। সলিড রাম-এর পুজো হয়।আর লিকুইড রাম পান করা হয়। একটাতে ভক্তি বাড়ে।অন্যটাতে নেশা বাড়ে।
আমি একদিন জিজ্ঞেস করাতে আপনার বাবা বলেন, যার সঙ্গে রাম শব্দটি যুক্ত তা ব্যবহারে কোনো দোষ হয় না। আমি সজোরে বলে উঠি, রাম! রাম!
এরপর তিনি হঠাৎ রাম উত্তেজিত হয়ে বললেন, আপনার নাম রামকৃষ্ণ অথচ আপনি রাম-কে ব্যঙ্গ করে রাম রাম কবিতা লিখে চলেছেন?
আমি বলি, রাম রাম কবিতা মানে?
রামমোহন বাবু বলেন, ন্যাকা রাম চৈতন্য! রাম পণ্ডিতি মারাচ্ছেন আর রাম রাম মানে জানেন না? রামছাগল না রাম ভোদাই আপনি?
রাম রাম কবিতা মানে বড় বড় কবিতা।
আমি রাম কাঁচুমাচু হয়ে বলি,ও!
পরে তার রামপদ দুখানি ছুঁয়ে বলি, ‘মারাচ্ছেন’ শব্দটি ব্যবহার করে রাম-কে অপমান করলেন। ‘মারাচ্ছেন’ শব্দটির মধ্যেও রাম -এর রা এবং ম অক্ষরটি রয়েছে।
এবার তিনি রাম রাম চোখ করে রামস্বরে ডাকলেন,এই শালা রামলাল! চিনে রাখ্ এই লোকটাকে। খুব রাম হারামি।ঘর থেকে রাম-দাটা নিয়ে আয়! একে একটু রাম ধোলাই দিয়ে রাম শিক্ষা দিয়ে দি।
আমি মনে মনে বলি,হারামজাদা লোকের পাল্লায় পড়েছি।আর তক্ষুনি মনে হলো,আরে! হারামজাদা শব্দটির মধ্যেও রাম শব্দটি কেমন নিশ্চিন্তে বসে আছে!
আমি তো নিরুপায়। রক্ষে করো রাম, জয়শ্রী রাম! বলে শপথ করি, হে রামচন্দ্র এ যাত্রায় বেঁচে গেলে রামতুলসী দিয়ে তোমায় পুজো দেব। রামধনুক হাতে রামমূর্তি গড়ে রাম নবমী পালন করবো।
রামমোহন বাবু বলেন, দেখলেন তো রাম জীবনে সর্বত্র বিরাজমান।
আমি বলি, মৃত্যুতেও রাম মরার সঙ্গে যায় শ্মশান।
গড উল্টে দিলে যেমন হয়ে যায় ডগ
তেমনি রাম উল্টে দিলে মরা।
রাম-ই শব এবং সব—
আমাদের জীবনে চৌকিদারি পাহারা।
রাম নাম সত্য হ্যায়!