অবতক খবর , রাজ্ , হাওড়া :- নেই কোনো দলীয় প্রতীক। কিন্তু তিনিই আছেন স্বহিমায়। ব্যানারে শুভেন্ধু অধিকারীর সঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। এভাবেই রামরাজাতলায় হলেন তিনি। হ্যাঁ, রাজ্যের বনমন্ত্রী মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও এই মুহূর্তে এই রাজ্যে সর্বাধিক চর্চিত ও বিতর্কিত শুভেন্দু অধিকারীর সাথে। তবে সবটাই দাদার অনুগামী নামে দলীয় প্রতীকবিহীন পোষ্টারের মধ্য দিয়ে। এই পোস্টার এখন রামরাজাতলায় রাজনৈতিক চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। দলের অভ্যন্তরে দলীয় কর্মীদের মনে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ছাড়ার সম্ভাবনা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

প্রসঙ্গত শিবপুর বিধানসভার অন্তর্গত রামরাজাতলা এলাকার বিধায়ক জটু লাহিড়ী সম্প্রতি পিকের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন প্রকাশ্যে। তিনি সরাসরি সংবাদমাধ্যমের সামনেই একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন দল ও পিকের বিরুদ্ধেই। তারপরেই নবান্ন সহ কোনা এক্সপ্রেস ওয়ের উপরে, ডোমজুড়ের সলপ এলাকা, ফাঁসিতলা সহ বিভিন্ন জায়গাতেই বনমন্ত্রীর ছবি–সহ পোস্টার পড়েছে হাওড়া শহর জুড়ে।

সম্প্রতি দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন রাজীব। ‘অরাজনৈতিক’ অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে নাম না করেই তৃণমূল এবং দলের নেতৃত্বকে কার্যত তুলোধনা করেছিলেন। আক্ষেপ করেছিলেন, স্তাবকতা করলেই বেশি নম্বর পাওয়া যায়। সেজন্যই তাঁর নম্বর কম। বলেন, ‘এখন হচ্ছে, স্তাবকতার যুগ।

অর্থাৎ আমি ভালো বললে ভালো বলতে হবে। আমি খারাপ বললে খারাপ বলতে হবে। অর্থাৎ শুধুমাত্র হ্যাঁ’তে হ্যাঁ, না’তে না – এটুকু বলতে পারলেই তুমি ভালো। নয়তো তুমি খারাপ। আজ আমরা এরকম একটা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এগুলি মানুষ পছন্দ করেন না।’ ‘বেসুরো’ রাজীবের সেই মন্তব্যে স্বভাবতই গুঞ্জন শুরু হয়। সাংবাদিকদের সামনে এখনও রাজ্যের মন্ত্রী পদে আছেন এবং তৃণমূলেই আছেন বললেও জল্পনা শুরু হয়, তাহলে কি এবার বিজেপির পথে যাচ্ছেন রাজীব?