অবতক খবর , রাজীব মুখার্জী , হাওড়া :-  বুধবার রাতে মুর্শিদাবাদ জেলার নিমতিতা ষ্টেশনের কাছে বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হলেন রাজ্যের শ্রম দফতরের রাষ্টমন্ত্রী জাকির হোসেন। তার উপর বোমা হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। বর্তমানে তাকে গুরুতর জখম অবস্থায় জঙ্গিপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে চিকিৎসা জন্য। বুধবার রাতে কলকাতা যাওয়ার জন্য তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস ধরতে নিমতিতা ষ্টেশনে যাচ্ছিলেন তিনি। নিমতিতা ষ্টেশনে গাড়ি থেকে নামার পরেই তার উপর বোমা মারা হয় বলে অভিযোগ এবং জাকির হোসেন সহ বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হন। সবাইকে জখম অবস্থায় জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।

পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এই বোমা হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে ইতি মধ্যেই। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন আর নির্বাচন আগে এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হল মুর্শিদাবাদ জেলার নিমতিতা এলাকায়। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল জেলা সভাপতি আবু তাহের খান জানান, ‘আজকে জেলা পরিষদের মিটিং এ আমার সঙ্গে ছিলেন। আগামীকাল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সমাবেশে অংশগ্রহণ করার জন্য ট্রেন ধরতে যাচ্ছিলেন। পায়ে যথেষ্ট ছোট পেয়েছেন তিনি। এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করুক পুলিশ।’

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন,’তৃণমূলের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক মতভেদ রয়েছে ঠিকই কিন্তু জাকির হোসেন একজন ভদ্র, সভ্য,নিরীহ মানুষ। জাকির হোসেনের সঙ্গে একসময় কংগ্রেস দলের যথেষ্ট ভালো সম্পর্ক ছিল, যদিও তিনি কংগ্রেস দল করতেন না।কিন্তু এই তৃণমূলে যোগদানের পর থেকেই তাঁর জীবনে অশান্তি শুরু হয়। জাকির হোসেন একজন সফল ব্যবসায়ী। খুবই দক্ষ ও নিরহংকারী মানুষ। ছোট থেকে কষ্টের মধ্যে মানুষ হয়েছে সে। তার এই ঘটনায় আমি অত্যন্ত ব্যথিত। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করার পাশাপাশি যারা অপরাধী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছে।

তৃণমূল দলে আগে যারা টাকা সরবরাহ করত অর্থাৎ গরু পাচারকারীদের সঙ্গে জাকিরের ওপর যথেষ্ট আক্রোশ ছিল। আর এই গরু স্মাগলাররাই জাকিরকে শত্রু বলে মনে করত। এই ঘটনা তৃণমূল দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলও হতে পারে। কারণ জাকিরকে তৃণমূল দলে কোনঠাসা করে রাখা হয়েছিল। আমি আন্দাজে কোন ঢিল ছুঁড়তে রাজি নই। পুলিশ যেন নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে জাকিরের অপর আক্রমণকারীদের গ্রেপ্তার করে। পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃংখলার এই চরম অবনতি দেখে সত্যিই আমরা স্তম্ভিত। ‘