অবতক খবর , রাজ্ , হাওড়া :- রবিবার সকালে কয়েক ঘন্টা ব্যবসা করার পরিবর্তে সোমবার ও মঙ্গলবার মঙ্গলা হাট চালু করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখালো হাটের ব্যবসায়ীদের একাংশ।

কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পরে তারা হাওড়া থানায় স্মারক লিপি জমা দেয়। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি।

ফি মঙ্গলবার হাওড়া ময়দান এলাকাতে মঙ্গলা হাটে ব্যাবসা করতেন বস্ত্র ব্যবসায়ীরা। কিন্তু কোভিডের কারণে গত ৯ মাস তাদের ব্যবসা শিকেয় উঠেছে। ফুটপাথ ও স্টল মালিক মিলিয়ে প্রায় ষাট হাজার ব্যবসায়ীর বিক্রি কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুজোর আগে শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর ১২ টা অব্দি ব্যবসা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে শুধু রবিবার ভোর থেকে দুপুর ১২ টা অব্দি তারা ব্যাবসা করতে পারছেন।ব্যবসায়ীদের অভিযোগ মাল লরি থেকে নামিয়ে দোকান সাজানো এবং বিক্রির জন্য ৭ থেকে ৮ ঘন্টা সময় খুবই কম।

মঙ্গলবারের বদলে রবিবারে হাট হওয়াতে ক্রেতারাও কম আসছেন। তাই মার খাচ্ছে তাদের বিক্রিবাটা। সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ছোট ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি এই করোনা আবহের মধ্যেও কলকাতার হরিশা হাট, মেটিয়াব্রুজ এবং ডোমজুড়ের অঙ্কুরহাটির হাট যদি খুলে দেওয়া হয় তাহলে সব চেয়ে পুরানো মঙ্গলা হাট কে কেন খুলে দেওয়া হচ্ছে না। এর পাশাপাশি তাদের আরও দাবি যেহেতু হরিশা হাট, মেটিয়াব্রুজ হাট শনিবার ও রবিবার বসে সেই কারণে ক্রেতা ও বিক্রেতা মঙ্গলা হাটে আসতে পারছে না। সেক্ষেত্রে আগের মতো সোম ও মঙ্গলবারই হাট চালু হলে তারা লাভের মুখ দেখতে পাবেন।

মঙ্গলা হাটের দাঁ মঙ্গলা হাট বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শেখ মহম্মদ নিজামুদ্দিন বলেন তারা মুখ্যমন্ত্রী ও জেলা প্রশাসন কে বারংবার আবেদন করেছেন মঙ্গলা হাট আগের মতোই চালু করা হোক। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও তাদের আবেদনে কোনো সাড়া দেওয়া হয় নি।প্রশাসন সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে যেহেতু সামনেই হাওড়া হাসপাতাল ও প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ অফিসগুলো অবস্থিত তাই করোনা পরিস্থিতি তে আগের মতো মঙ্গলা হাট চালুর করার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।