হোলি ও ভোট প্রায় কাছাকাছি এসে গেছে।
মেয়ে বলে, একটা রঙের দোকান খুলবে?

রঙের দোকান
তমাল সাহা

টুকুন বলে, বাবা! একটা রঙের দোকান খুলবে? দেখো খুব ভালো চলবে।

তোকে নিয়ে আর পারিনা! হঠাৎ রঙের দোকান কেন?

রঙ সম্বন্ধে তোমার জ্ঞান নেই কোনো।
শোনো!
লাগবেও না বেশি পুঁজি।
যা বিক্রি হবে তাতেই চলে যাবে রুটি-রুজি।
দোকানে রাখবো মাত্র তিনটি রং—
দেয়ালের ও জানালা দরজার।
সঙ্গে থাকবে তিন রঙের আবিরের সম্ভার।
আর চার রকম পতাকা।
এটুকু না রাখলে দোকান দেখাবে ফাঁকা ফাঁকা

তা কি রঙ বল্! কেমন আবির আর পতাকা?

এই তোমার রঙ হলো লাল সবুজ গেরুয়া
আবিরের রঙও তাই।
লালের চাহিদা এখন কম
বোঝোই তো! ফুরিয়ে গেছে এখন ওদের দম।
আর পতাকা– কাস্তে-হাতুড়ি,
এক ফুল, দুই ফুল ও জাতীয় পতাকা।
কাস্তে-হাতুড়ি ফ্ল্যাগও লাগবে কম
বেচারা পড়ে গেছে একা।

সবুজ, গেরুয়ার চাহিদা খুব বেশি।
একই দেয়ালে একবার গেরুয়া
একবার সবুজ
আবার সবুজ মুছে গেরুয়া চলবে রেষারেষি।

তার মানে এক ফুল, দু ফুলের পতাকা লাগবে বেশি
যা মুনাফা হবে না! দেখো তুমি হবে খুশি।

তাহলে জাতীয় পতাকা কেন?
দেশপ্রেম কি আর আছে?

আরে কি যে বলো বাবা!
পার্টির পতাকার পাশে তো
জাতীয় পতাকাও ওঠে
সঙ্গে ইয়া স্লোগান—
বন্দেমাতরম!জয়হিন্দ!
আমাদের চোখে মুখে ঠোঁটে!
জয় জোয়ান! জয় কিষান!
লড়কে লেঙ্গা হিন্দুস্তান।
উঁচা রহেগা মেরা নিশান!

এটাতো নেতাদের দেশ
নেতারা রং বদলায় দ্রুত তাড়াতাড়ি
যত দ্রুত চলে দলাদলি!

এরপরেও চাকরির কথা বলো!
কাছে এসো বাবা তোমাকে একটু রং মাখাই
বাবা! ও বাবা!
আচার্য প্রফুল্ল রায় লিখেছেন, ব্যবসায়ে বাঙালি।
আমার মনে হচ্ছে–দিই জোরে জোরে হাততালি।