অবতক খবর,১৯ মার্চ,মালদা,সানু ইসলামঃ বাইরে নীল সাদা রঙের প্রলেপ, ভিতরে স্বাস্থ্যপরিকাঠামোর বেহাল হাল। পর্যাপ্ত শয্যার অভাবে হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন একাধিক রোগী। এ ছবি মালদহের চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের। আচমকাই হাসপাতালের সারপ্রাইজ ভিজিটে গিয়ে চোখ কপালে জেলা শাসকের। মালদার চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ঘটনা।

চাঁচল মহকুমার ছয়টি ব্লকের মানুষের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একমাত্র বড়ো ভরসা চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। এই হাসপাতালে হরিশ্চন্দ্রপুর,চাঁচল, মালতী পূর, রতুয়া সহ আরো বেশ কয়েকটি ব্লকের মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা নিতে ছুটে আসেন। কিন্তু আদৌ কি হাসপাতালে সঠিক পরিষেবা পাচ্ছেন রোগীরা প্রশ্ন।রোগীদের ভিড়ে থিকথিক করছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। হাসপাতালের মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ডে লম্বা লাইন, বারান্দা ছাড়িয়ে শৌচালয়ের দরজায় এসে থেমেছে রোগীদের লাইন। হাসপাতালের নানা ওয়ার্ডে জায়গার অভাবে মেঝেতেই শুয়ে আছে একাধিক রোগী। কেউ একদিন, কেউ দুদিন কেউ আবার টানা তিন দিন ধরে হাসপাতালের ঠান্ডা মেঝেতে শুয়েই নিচ্ছেন চিকিৎসা পরিষেবা। চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আসা এক রোগীর পরিবারের সদস্য মোঃ শহীদের অভিযোগ, গত দুদিন আগে আমি আমার স্ত্রী-কে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসি। কিন্তু হাসপাতালে বেডের অভাব, পর্যাপ্ত বেড না থাকার কারণে ঠান্ডা মেঝেতেই শুয়ে রয়েছে আমার স্ত্রী। শুধু তাই নয়, হাসপাতালে শৌচালয়ের অবস্থা বেহাল দশা। দুর্গন্ধে থাকা যাচ্ছে না। তবুও হাসপাতাল কতৃপক্ষের কোন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বালাই নেই। আমরা চাই হাসপাতালের বেডের সংখ্যা বাড়ানো হোক এবং শৌচালয় পরিষ্কার করা হোক।

আজ রাত্রে আচমকাই চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সারপ্রাইজ ভিজিটে আসেন মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে পা দিতেই চোখ কপালে ওঠে জেলা শাসকের। তিনি নিজেও দেখেন হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন অসংখ্য রোগী। এই ছবি দেখার পরই রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন জেলা শাসক। হাসপাতালের সুপার সহ স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দ্রুত সেই সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন। এরপরই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জেলা শাসক বলেন, আমি সি এম ও এইচ এবং সুপারকে নির্দেশ দিয়েছি হাসপাতালের বেড সংখ্যা বাড়ানোর। যেহেতু এই হাসপাতালে প্রচুর রোগীর চাপ রয়েছে যার কারণে হাসপাতালে বেডের অভাব। তাই দ্রুত হাসপাতালের বেড সংখ্যা বাড়ানো হবে। পাশাপাশি হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর দিকে জোর দেওয়া হয়েছে, দ্রুত সেই কাজ শুরু হবে।