অবতক খবর,১১ ডিসেম্বর: পশ্চিমবঙ্গ সামগ্রিক অঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ রাজ্য সরকারি প্রকল্পের আওতায় ‘মৃত্তিকা’ ব্যানারের অধীনে বানজেটিয়ার আবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং খামারের প্রবেশ মুখে ‘ওন স্টল সেলস কাউন্টার’ চালু করতে চলেছে ২ রা জানুয়ারি ২০২৫ সাল থেকে।

পাশাপাশি ভাকুড়ীতে স্থিত এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসের একতলায় ‘মৃত্তিকা হাট’ চালু করতে চলেছে, যেখানে নিজস্ব খামারে তৈরি জৈব সার জৈব পদ্ধতিতে পালন করা শাকসবজি, ফল এবং নানান প্রকারের সবজি ও ফলের চারা, মাছ, হাঁস, মুরগি, ছাগল, কোয়েল ইত্যাদি নানান ধরনের সামগ্রিক বিক্রয় করা হবে। আপাতত শনিবার এবং রবিবার চালু করা হয়েছে ‘ ওন ফার্ম সেলস কাউন্টার’।

১১ ডিসেম্বর বানজেটিয়া প্রদর্শনী খামারে একটি মিটিং এর আয়োজন করা হয় যেখানে মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন ব্লকে স্থিত ফার্মার প্রডিউসার কোম্পানি যারা WBCADC এর সাথে যুক্ত তাদের নিয়ে একটি মিটিং করা হয়। এবার থেকে তাদের উৎপাদিত সামগ্রীও মৃত্তিকা ব্যানারের অধীনে বিক্রয় করা হবে। ফলে সাধারণ মানুষ বাজার দর থেকে কম দরে সব রকম সামগ্রী পাবে। তাতে থাকবে পাটের নানান সামগ্রী, গুড়, তেল, কৃষিজাত দ্রব্য এবং নানান প্রকার সামগ্রী।

এ বিষয়ে প্রজেক্টের অফিসার ইনচার্জ সলিল রায়চৌধুরী জানান, মুখ্যমন্ত্রীর চালু করা নানান প্রকল্পের আওতায় সাধারণ মানুষ সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। সেরকমই আগামী ২ রা জানুয়ারিতে ২০২৫ সাল থেকে সাধারণ মানুষ মৃত্তিকা ব্যানারের অধীনে সরকারি মূল্যে জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা নানান দ্রব্যাদি পাবে।

পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন ব্লকে স্থিত ফার্মার প্রডিউসার কোম্পানির সাথে যুক্ত মহিলাদের ট্রেনিং দেওয়া হয়, এই ট্রেনিং এর উদ্দেশ্য হচ্ছে মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলা। তাদের মধ্যে থেকে অনেক মহিলারা তাদের নিজ তৈরি সামগ্রী বিক্রি করতে পারেন না বা পারলেও সঠিক মূল্য পান না। WBCADC তাদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার প্রচেষ্টা করছে। কারণ অনেকেই WBCADC সাথে পরিচিত নন। সমস্ত দিক থেকে সফলতা আনায় হচ্ছে WBCADC এর মূল লক্ষ্য।