বিশ্ব কবিতা দিবসে মাকে সামনে রেখে
মা শেখায়
তমাল সাহা
তুই তো কত কি দেখিস, দেখিস কি শব্দসমূহ?
বাংলা বর্ণমালায় আশ্চর্য সব শব্দের সমারোহ!
শব্দের ভিতর লুকিয়ে আছে শব
পলাশের প সরালেই পড়ে থাকে লাশ
কল তো আছেই,কেন অতিরিক্ত জুড়ে যায় রব?
কৃষ্ণচূড়া স্বাভাবিক নিয়মেই ছুঁতে চায় আকাশ
কৃষ্ণের চূড়া, না চূড়া কৃষ্ণ যাহার
তবে চূড়ায় কেন রক্তিম আভাস?
তুই আগুন দেখিস, জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারে
গুন শব্দের আগে আ বসে কোন প্রকারে?
মা তো ছিলই, কেন তবে পরে টি–মাটি
মাটিতে ধর্ষিতা হলো তবে কোন নারীটি?
ভয় তো ছিলই,
নিঃ আগে বসিয়ে সত্যিই কি দূর হলো ভয়?
জয় নামে এত উল্লাস!কেন নাম রাখিস না পরাজয়?
আলো রাখিস নাম কন্যাটি কার!
অন্ধকার নাম কেন তবে নয়?
অন্ধ করে যে, সেই তো অন্ধকার, ক্রমে ক্রমে ঘনীভূত হয়।
কবি শব্দটি কবা থেকে আসে।
তুই লিখে চলিস কবিতা, তা প্রত্যয় তাতে
তা মানে তাপ উত্তাপ, কোথায় তোর লেখাতে!
বোধ নেই, তবু মা আমার নামটি কেন রেখেছিল সুবোধ, বলে যয়নি সে কথা।
মমতার আগে নিঃ বসালেই কিন্তু নির্মমতা!
তবে মা বলেছিল, রোধ শব্দটি ভালো নয়, তাতে নেই জীবনমুখী বোধ
রোধের বিপরীত শব্দটি অনিবার্য শিখে রাখ
সেটা হলো প্রতিরোধ।