অবতক খবর :: ৭ ডিসেম্বর :: কাঁচরাপাড়া :: ২০ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর উৎপল দাশগুপ্ত। তিনি জনপ্রতিনিধি,মা-মাটি-মানুষের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিষ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সাম্প্রতিককালে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও সরব হয়েছেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বক্তব্য রাখছেন সেই সময়ে তাঁরই দলের কাউন্সিলরের দ্বারা নিগৃহীত হলেন প্রতিবেশী সুরশ্রী শীল।
সুরশ্রী শীলের পিতা নিধির শীল অঞ্চলের সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে পরিচিত। ধ্রুপদী গান-বাজনার সঙ্গে তিনি জড়িত এবং তিনি তাঁর নিকটতম প্রতিবেশী যাকে বলা হয় ‘নেক্সট ডোর নেবার’ সেই উৎপল দাশগুপ্তের সঙ্গে ছোটবেলা থেকেই গভীর সম্পর্ক রয়েছে বলে জানান নিধির শীল।
এই ওয়ার্ডে রক্তদান শিবির, স্বাস্থ্য শিবির,পাট্টাদান প্রক্রিয়া চলবে বলে ক’দিন ধরে সজোরে মাইকে প্রচার চলছে। এখন পরীক্ষার মরশুম, মাইকটি একটু নিচু স্বরে বাজানোর অনুরোধ করেছিলেন নিধির শীলের কন্যা সুরশ্রী শীল এবং তিনি ইংরেজিতে তার বক্তব্য বলেছিলেন। এতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন জনপ্রতিনিধি উৎপল দাশগুপ্ত।
তিনি রীতিমতো তাকে হুমকি দেন পাড়া ছাড়া করে দেবেন, এমনকি শারীরিকভাবে নিগ্রহ করেন বলে অভিযোগ। সুরশ্রী শীল সাক্ষাতে বলেন যে, তার গালে একটা চড় দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে যে উৎপল দাশগুপ্ত উত্তেজিত স্বরে কথা বলছেন, হুমকি দিচ্ছেন তা দেখা যাচ্ছে।
এমতাবস্থায় সুরশ্রী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অন্যদিকে বিজপুর থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ জানায় এটা জেনারেল ডায়েরি হবে নাকি এফআইআর হবে, এই নিয়ে বড়বাবুর সাথে কথা বলতে হবে এবং আইসি-র কাছে তার বক্তব্য পাঠিয়ে দেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলছেন, নারী নির্যাতন,নারী অভিযোগের ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সুরশ্রী দেবী পুলিশের কাছ থেকে কোন ডাক পাননি বা কোন কাগজপত্র পাননি। তাকে নিগ্রহের ব্যাপারে কোন কোন ধারা লাগু করা হয়েছে তা তিনি জানতে পারেননি। তিনি বর্তমানে আতঙ্কিত। তিনি বলেন, আমি দিল্লী থাকি। আমি একজন ফ্রিল্যান্সার এবং ফটোগ্রাফির সঙ্গেও যুক্ত। তিনি বলছেন,আমি আশঙ্কা করছি এবং ভয় পাচ্ছি, আমি চলে যাওয়ার পর আমার বাড়ির উপর আক্রমণ হতে পারে। সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।