অবতক খবর,১০ অক্টোবর: প্রায় ২৪৮ বছরে পদার্পণ মহিষাদল রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। তৎকালীন রানী জানকি এই পুজোর প্রবর্তন করেছিলেন। ইতিহাস বিজড়িত পুজোকে ঘিরে রয়েছে নানান রূপকথার গল্প। রাজবাড়ীর কূল-মন্দিরে যেহেতু মদন গোপাল জিউ অধিষ্ঠিত তাই বৈষ্ণব মতে পুজো হয়। আগে সন্ধিপুজোর সময় কামান দেগে এলাকার মানুষজনদের জানান দেওয়া হতো রাজবাড়ীর সন্ধিপূজো শুরু হতে চলেছে। কোন এক সময় কামান দাগতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে,তারপর থেকে সরকার বাহাদুর কামান দাগা বন্ধ করেছেন।

সপ্তমীর দিন ৭ মন অষ্টমীর দিন ৮ মন চাল এরকম করে অন্য ভোগ তৈরি করা হতো। এখন আর তা হয়ে ওঠেনা। তবে খাওয়া দাওয়া জাঁকজমক রীতি মেনে রয়েছে। ৮ চালায় ঠাকুর টানা টানা চোখ যা অন্যান্য চেয়ে ভিন্ন। ১০৮ টি পদ্ম সহযোগে জাঁকজমক ভাবে নিষ্ঠাভরে পূজো হয় এই রাজবাড়ীর পুজোয়। রাজবাড়ীর মহিলা সদস্যারা আগে পর্দার আড়ালে থাকতেন। সিঁদুর খেলায় সকলের সাথে অংশ নিতে পারতেন না। এখন তা তুলে দেওয়া হয়েছে সকলের সাথেই সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেন রাজবাড়ীর সদস্যারা। আগে নিয়ম ছিল রাজ পরিবারের সদস্য সদস্যারা আগে পুষ্পাঞ্জলি দেবেন তারপর এলাকার মানুষজনরা পুষ্পাঞ্জলি দিতেন। এখন সেটাও তুলে দেওয়া হয়েছে।শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বিজয়া দশমীর দিন হিজলি টাইটাল খালে বিসর্জন দেওয়া হতো প্রতিমা। এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই রাজবাড়ির দিঘিতে বিসর্জন দেওয়া হয় প্রতিমা। পুজোর জৌলুস হারিয়েছে,পুরাতন দিনের মতো এখন আর না হলেও ঐতিহ্য মেনে রাজবাড়ীর পুজো আজও হয়ে আসছে মহাসমারোহে। পুজোর কটা দিন রাজ বাড়ির মা দুর্গার দর্শন সারতে হাজার হাজার মানুষের ভিড় জমে।