আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: অবতক খবর :: ১২ই,নভেম্বর :: নয়াদিল্লি :: মহারাষ্ট্রে জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন। দুপুর থেকেই গুঞ্জন চলছিল রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি রাষ্ট্রপতি শাসনের পথেই হাঁটতে পারেন। রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাতে তা পেশও করেন রাজ্যপাল।

এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারির সুপারিশে সিলমোহর দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। রাষ্ট্রপতি এই সুপারিশে সই করতেই ৩৫৬ ধারা জারি হল গোটা মহারাষ্ট্রে। আপাতত ছয় মাসের জন্য রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হলেও পরবর্তীকালে তা আরও ছয় মাস বাড়াতেও পারেন রাজ্যপাল।

বিজেপি সরকার গড়তে অপারগ জানিয়ে দেওয়ার পর শিবসেনা রাজ্যপালের কাছে তিনদিনের সময় চেয়েছিল। কিন্তু রাজ্যপাল তাঁদের জানিয়ে দেন, তিনদিন সময় দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে শিবসেনা বিপাকে পড়ে যায়। কংগ্রেসের কাছ থেকে আশ্বাস মিললেও সমর্থনের সরকারি সিদ্ধান্ত না পেয়েই শিবসেনা ব্যাকফুটে চলে যায়। এই অবস্থায় রাজ্যপাল এনসিপিকে সরকার গঠনের দাবি জানাতে বলে। তাদের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা ধার্য করেন রাজ্যপাল। তার আগেই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্রে।

 

 

সরকার গড়ার ক্ষেত্রে আসন সংখ্যা কম আছে এমন যুক্তি দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রবিবারেই নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে বিজেপি। বিজেপির পরে সেই দিনই শিবসেনাকে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল। এরপরেই একের পর এক মোড় আসতে শুরু করে মারাঠা রাজনীতিতে। শিবসেনাকে সরকার গড়ার জন্য মাত্র ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা দেওয়া হয়। এনসিপির প্রধান শরদ পাওয়ার এবং শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বৈঠকও হয়। সরকার গড়ার ক্ষেত্রে কংগ্রেসের সমর্থন চায় দুই দলই। প্রথমে সমর্থনের আশ্বাস দিলেও শেষ পর্যন্ত সরকারী ভাবে সমর্থন থেকে পিছিয়ে এসে আলোচনার কথা বলে কংগ্রেস।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্র জানানো হয়েছে, আপাতত ছ’মাসের জন্য কার্যকর করা হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। এর মধ্যে যখনই কোনও দল সংখ্যা প্রমাণ করতে সক্ষম হবে, তখনই রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার করা হবে। এখানে প্রশ্ন উঠেছে এদিনই যদি এনসিপি সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেয় তবে কি রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার করা হবে? তাহলে ঘোষণা করা হল কেন রাষ্ট্রপতি শাসন?