অবতক খবর,১১ মার্চ: অমরাবতী খেলার মাঠ নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে বিতর্ক। ৮৭ একরের ওই জায়গা বেআইনি ভাবে দখল করা হচ্ছে, জলাশয় বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন বিরোধীরাও। বিষয়টি নিয়ে সরব হন স্থানীয়রাও। গোটা ঘটনায় পুরপ্রধানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
বেশ কিছু দিন ধরেই বিতর্ক পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানকে ঘিরে। নাগরিক পরিষেবা থেকে প্রোমোটিংয়ের জন্য মাঠ বিক্রিতে তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন স্থানীয়দের একাংশ। তাঁদের দাবি ছিল, ৮৭ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত অমরাবতী মাঠ দখল করে প্রোমোটিং হচ্ছে কাউকে না জানিয়েই। জলাভূমি ভরাট হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে। গত সপ্তাহে সেই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক। মাঠ দখলের কথা স্বীকার করে নিয়ে তিনি জানান, জমিটি সরকারের তরফে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দেওয়া হচ্ছিল। সেখানে প্রোমোটিং কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ওই জমি দখল করা যাবে না।
ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে নোটিস পাঠানো হয়। জানানো হয়, রাজ্য সরকার জমিটিকে অধিগ্রহণ করবে। সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে বলে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে নোটিস দেন মহকুমা শাসক। এর পর শনিবার পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান মলয়কে ফোন করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ। দ্রুত তাঁকে পদত্যাগ করতে বলা হয়। কিন্তু মাঝে শনি, রবি, সোম কেটে গেলেও পদত্যাগ করেননি মলয়। সোমবারও পুরসভায় কাজ করেন তিনি। মঙ্গলবার ফের মলয়কে ফোন করেন ফিরহাদ। জানান, মুখ্যমন্ত্রী চান মলয় পদত্যাগ করুন।