অবতক খবর,২০ জানুয়ারি: রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর পুলিশি এনকাউন্টারের মৃত সাজ্জাক আলমের দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের সদস্যদের হাতে। এরপর সাজ্জাকের পরিবারের সদস্যরা তার মৃতদেহ নিয়ে যান করণদিঘির ছোটোসোহার গ্রামে। তার মৃতদেহ গ্রামে পৌঁছায়। যতই সে এলাকার বেতাজ বাতসা হোক না কেন ? মোটের ওপর সে যে ঘরেরই সন্তান।
একটি ডাকাতি এবং খুনের ঘটনা বদলে দিয়েছে সাজ্জাক আলমের জীবন। ঠাঁই বলেছিল রায়গঞ্জ জেলা সংশোধনাগারে। বাংলাদেশী নাগরিক আব্দুল তার জীবনে মূর্তিমান বিভীষিকা হয়ে দাঁড়ায়। যে কারণেই আব্দুল গত 15 ই জানুয়ারি বুধবার তার হাতে তুলে দিয়েছিল আগ্নেয়াস্ত্র। যার জেরে দুই পুলিশ কর্মীকে গুলি করে জীবনের চরম সর্বনাশ ডেকে আনেন রায়গঞ্জ জেলা সংশোধনাগারের বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাক আলম। পরিণতিতে বিসর্জন দিতে হলো তার মূল্যবান প্রানকে।
অনাথ হলেও তার দশ বছরের সন্তান, বিধবা হলেন তার দুই স্ত্রী। সংসার ভেসে গেল অকুল দরিয়ায়। রবিবার বিকেলে তার বাড়ির সামনে শয়ে শয়ে মানুষ উপস্থিত হয়। যতই সে অপরাধী হোক না কেন মৃত্যুর পর সেই মানুষটির প্রতি আর ক্রোধ ঘৃণা তেমন থাকে না। ঝরে পড়ে না রাগও। এখন তার পরিবারের সদস্যদের কি হবে সে বিষয়ে চিন্তায় এলাকাবাসীরা। এদিন তার এলাকায় মোতায়ন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। রবিবার রাত পৌনে আটটা নাগাদ বিকৌরের একটি কবরস্থানে সাজ্জাককে সমাধিত করা হলো।