মণিভূষণ ভট্টাচার্য বাংলা কবিতার ক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রমী উচ্চারণ। তাঁর কাব্যগ্রন্থ ‘গান্ধীনগরে রাত্রি’
ছিল সময়ের রেডবুক। মণিভূষণের শব্দসজ্জায় যারা অন্বিষ্ট নন, তারা এখন খুঁজে নিতে পারেন ‘মিসিং লিঙ্ক’।
আজ তাঁর জন্মদিনঃ শ্রদ্ধা
মণিভূষণের প্রতি
তমাল সাহা
গান্ধীনগর আবার রাত্রি নামায় কারা?
তবু উত্তর আকাশে জ্বলে ধ্রুবতারা।
তোমার মত শব্দাস্ত্র সাজায় না আর কেউ।
কে দেবে আমাদের অতন্দ্র প্রহরা?
ছাতু খাওয়া ভুলে গেছে চটকলের মজুর।
শ্রমিক নেতারা মেরুদণ্ডহীন, জো হুজুর!
খেতির মানুষের ক্রমবর্ধমান আত্মহত্যা।
তোমার দেশে নিঃশেষ মানবিক নিরাপত্তা।
বাতাস কেঁপে ওঠে ধর্মীয় জিগিরে
রক্তে ভেজে মাটি, আগুন জ্বলে বস্তির ঘরে।
দলিতের দেহ পড়ে থাকে,খুন হয় ধর্ষিতা নারী।
দেশ জুড়ে চলে তীব্র বেগে নীল-সাদা গেরুয়া গাড়ি।
তুমি বলেছিলে,
এবার প্যাঁদাবো শালা হারামি ওসি-কে।
তোমার মতো এতো হিম্মৎ দেখায় কে?
তুমি সোচ্চারে স্লোগানের জন্ম দিয়েছিলে,
ভাত দে, হারামজাদি!
খরশান শব্দাস্ত্রে তুমি অনন্য প্রতিবাদী।
ভারতবর্ষ এখন বুলেটে ঝাঁঝরা কোতলখানা।
মন্টুদের জীবনে পূর্ণ আজ এই দেশ–
কোথায় বিদ্যুৎ ঝলসানো অস্ত্রের হানা?