অবতক খবর: ‘ট্রাইবাল সলিডারিটি মার্চ’ শুরু করে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ ৩ মে । ৭৮ দিন, হিংসার আগুনে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছে মণিপুর। বিরোধীদের প্রবল চাপের মুখে পরে অবশেষে মণিপুর হিংসা নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর আগে তিনি বলেন, “মণিপুরে মা-বোনেদের অসম্মান যারা করেছে তারা রেহাই পাবে না। মহিলাদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।”

মণিপুর নিয়ে ৭৮ দিন পর মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই জনজাতি মহিলাকে যৌন হেনস্তার প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, “এই ঘটনায় গোটা দেশের মাথা নত হচ্ছে। “মণিপুরে মা-বোনেদের অসম্মান যারা করেছে তারা রেহাই পাবে না। মহিলাদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। আমি সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে আবেদন জানাবো তাঁরা যেন রাজ্যে-রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখেন।”

মেতেইদের তফসিলি উপজাতির তকমা না দেওয়ার দাবিতেই ছিল ওই মিছিল। ক্রমেই তা হিংসাত্মক আকার ধারণ করে।  মেতেই সংখ্যাগুরু ইম্ফল উপত্যকায় বেশকিছু বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। আর এর প্রতিক্রিয়াও হয় প্রায় সঙ্গে সঙ্গে। গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে অশান্তি- হিংসা। হাজার হাজার সেনা নামিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি।

সংসদের বাদল অধিবেশনেও যে ইস্যুটি নিয়ে সরব হবে তারা তা স্পষ্ট। উল্লেখ্য, গোষ্ঠীহিংসা জর্জরিত মণিপুর নতুন করে অশান্ত। নেপথ্যে বিতর্কিত ভিডিও। যেখানে দেখা গিয়েছে, নগ্ন অবস্থায় হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দুই মহিলাকে। অভিযোগ, গণধর্ষণেরও শিকার হয়েছেন তাঁরা। যা নিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় টুইটার-সহ যাবতীয় সোশ্যাল মিডিয়াকে কেন্দ্রের কড়া নির্দেশ, কোনওভাবেই যেন ভিডিওটি শেয়ার না করা হয়।