চলছে ভোট পর্ব।চলমান ভোটের কথা

ভোট চিত্র
তমাল সাহা

এক

ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিল—
নাগরিক অধিকার ছিল বুথের ভেতর।
বোমা পড়ল,মারা গেল ভোটার।

যারা লাইনে দাঁড়িয়ে দেখলো
তারাই আসল অবজারভার।

দুই

ভোটের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে ভয়
পরাজয় না থাকলে কি করে
জেতে জয়?
রক্তপাত ও মৃত্যু-
গণতন্ত্রে স্বাভাবিক মনে হয়।

তিন

দল না থাকলে কেন লোকে
দলেদলে ভোট দিতে যাবে?
এমএলএ, এমপি-রা কি করে খাবে?

তাই দল ও ভোট সহোদর ভাই
তুমি শালা নির্বোধ ভোটার —
দাবি করো, ভোটের অধিকার চাই।

চার

পাঁচ বছরে ভোটের হাওয়া
আসে আর যায়।
তুমি দাও ভোট , অন‍্যরা করে খায় ।
ভোট দিয়ে কী হয় তাতো তুমি
৫২সাল থেকেই জানো।
শেকড়ে ঢুকে গেছে ভোট
সহজে যায় কি উপড়ানো?

পাঁচ

আগুন ও আশ্রয় পাশাপাশি থাকে।
ওদের ইচ্ছেয় না দিলে ভোট
ভিটেতে আগুন লাগে।
তখন কোথায় কমিশন—
নিরাপত্তা,প‍্যারামিলিটারি?
রক্তপাত-খড়ের চাল দলাপাকানো, উল্টেপড়ে থাকে ভাতের হাঁড়ি।
এই ভোট নাকি গণতন্ত্রের চাবি,হায়!
গণতন্ত্র! মানুষ ভয়ে পালায়!

ছয়

নির্বাচন কাকে বলে?
নির্বাচন কমিশন সংস্থাটি কার?
কার জমিদারিতে তারা চলে?
নির্বাচনী আধিকারিক, অবজারভার, প্রিসাইডিং-পোলিংঅফিসার এরাই কি
নিজেদের গুরুত্ব জানে?
অথচ জেনারেল নলেজে কতো প্রশ্ন আসে।
ফোর্স নামেই ফোর্স, কাঁধে মেশিন গান
বেফালতু দাপায়।
বেচারা ভোটার!
এসব শুনেশুনে তার কান পচে যায়।