Aabtak Khabar,মালদা;২১মে: মালদহের চাঁচল ১ নং ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের দপ্তরে ঘুঘুর বাসা? সক্রিয় দালাল চক্র! বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আসতেই উঠেছে এই প্রশ্ন। এবার জমি হাতানোর নতুন পন্থা।পরিবারের দুই পক্ষের মধ্যে জমি নিয়ে বিবাদের মাঝেই ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের নাম করে ভুয়ো নোটিশ। তারপর সরকারের লোক উকিল পরিচয় দিয়ে দুই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাড়িতে গিয়ে হুমকির অভিযোগ।চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের।
চাঁচলের মল্লিকপাড়া এলাকার ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দা দুই অভিযোগকারী ফরিদা বিবি এবং নুরবানু বিবির দাবি পারিবারিক জমির মালিকানা নিয়ে তাদের পরিবারেরই অপরপক্ষ আমাল উদ্দিনের সঙ্গে বিবাদ চলছিল। আমাল উদ্দিন জোরপূর্বক তাদের ভাগের জমি দখল করতে চাই ছিল। তার মাঝেই চলতি মাসের ১৬ তারিখ তাদের বাড়িতে স্পিড পোস্টের মাধ্যমে একটি নোটিশ আছে যে নোটিশে লেখা রয়েছে ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের নির্দেশ জমি মাপযোগ নিয়ে নির্দিষ্ট একটি সময় এবং দিনে। কিন্তু সেখানে কোন সিল বা স্বাক্ষর নেই। তাদের মনে সন্দেহ দানা বাঁধে।
তারপরেই অভিযুক্ত পক্ষ দুইজন ব্যক্তিকে নিয়ে তাদের বাড়িতে আসে। এই দুজন ব্যক্তি নিজেদের উকিল মহরিল এবং ভূমি সংস্কার আধিকারিক দপ্তরের লোক হিসেবে পরিচয় দেয়। হুমকি দেয়। তার মধ্যে একজন নিজের নাম বলেন আরমান আলী। বাড়ি বলেন চাঁচলের রানীকামাত এলাকায়। অন্যজন নিজের নাম বলতে চাইনি। এই ঘটনার পর আতঙ্কিত দুই পরিবার চাঁচল থানায় এসে সেই ভুয়ো নোটিশ সহ অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনা সামনে আসার পর প্রশ্ন উঠেছে কোথা থেকে এই ধরনের নোটিশ তৈরি হচ্ছে। কারা এই কাজে যুক্ত।
তবে কি দালাল চক্র সক্রিয় রয়েছে। যারা জমি হাতানোর ঠিকা নিয়ে মোটা অংকের বিনিময়ে এই ধরনের কাজ করছে। যদিও ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক অমিত দাস এই নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। তার দাবি এখনো পুলিশের পক্ষ থেকে তার কাছে কোনো তথ্য আসেনি। তার দপ্তরেও কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। তাই তিনি মুখ খুলবেন না।
অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ তৃণমূলের আমলে সব কিছুই ভুয়ো। সরকারি দপ্তর গুলো ঘুঘুর বাসা। এই ধরনের ঘটনা তার প্রমাণ দিচ্ছে। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের দাবি তাদের আমলে সরকারি দপ্তরে মানুষ পরিষেবা পাচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলে তাদের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।