অবতক খবর,১৭ ডিসেম্বর: ভুয়ো রেশন কার্ড তৈরি করে খাদ্য সামগ্রী আত্মসাৎ এর অভিযোগ এক রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে। রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে ভুঁয়ো রেশন কার্ড তৈরির অভিযোগ করলেন গ্রাহকরা। ভুঁয়ো রেশন কার্ড তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে রেশন সামগ্রী চুরি করছিল অভিযুক্ত রেশন ডিলার এমনটাই দাবি স্থানীয় গ্রাহকদের। অবশেষে গ্রাহকেরা বিষয়টি জানতে পারায় খাদ্য নিয়ামক দপ্তর ও জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগ পেয়ে তদন্তের নির্দেশ মালদা জেলা খাদ্য দপ্তরে নিয়ামকের l যদিও অভিযুক্ত ওই রেশন ডিলার তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন l

আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতরl মালদার কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লকের গোলাপগঞ্জ অঞ্চলের বাবরবোনা গ্রামের প্রায় চার হাজার ভুয়ো রেশন কাড বানিয়ে খাদ্য সামগ্রী আত্মসাৎ করেছে রেশন ডিলার সইফুদ্দিন আহমেদ বলে অভিযোগ l দীর্ঘদিন ধরে এই ভাবেই তার রেশন সামগ্রী আত্মসাৎ করছিল l গ্রাহকদের অভিযোগ অভিযুক্ত ওই রেশন ডিলার পরিবার পিছু কোথাও দুইটি আবার কোথাও চারটি ভুঁয়ো রেশন কার্ড তৈরি করেছেন। সেই কার্ড নথিভুক্ত করে দপ্তর থেকে অতিরিক্ত রেশন সামগ্রী তুলছেন। তারপর অতিরিক্ত রেশনের সামগ্রী গুলি রেশন ডিলার নিজের কাছে রেখে দিচ্ছেন।

এদিকে গ্রাহকেরা সঠিক পরিমাণে রেশন সামগ্রী পাচ্ছেন। ফলে গ্রাহকদের কোন রেশন সামগ্রী কম না দিয়েও অতিরিক্ত ভুঁয়ো রেশন কার্ড তৈরি করে এই ভাবেই রেশনের সামগ্রী দীর্ঘদিন ধরে আত্মসাৎ করে আসছিলেন অভিযুক্ত। এলাকার প্রায় চার হাজার রেশন কার্ড রেশন ডিলার তৈরি করে খাদ্য সামগ্রী আত্মসাৎ করছে, গ্রাহক দেব কাছে সঠিকভাবে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে না আমাদের দাবি অভিযুক্ত এই রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনত ব্যবস্থা করা হোক এবং পাশাপাশি এই ভুয়ো রেশন কার্ড তৈরীর ক্ষেত্রে যারা যুক্ত তাদেরকেও আইনত ব্যবস্থা করা হোক এই ভাবেই রেশন ডিলাররা দুর্নীতি করছে আমরা এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছিl আজকে বিষয়টি নজরে আসে গ্রাহকদের। তারপরেই তারা অভিযুক্তরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। বিষয়টি জানতে পেরে অভিযুক্ত রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন মালদা জেলা খাদ্য দপ্তরের নিয়ামক l রেশন ডিলারশিপ সইফুদ্দিন আহমেদ নামে থাকলেও বর্তমানে তার ছেলে সামিন হোসেন ডিলারশিপ চালায় l সাইফুদ্দিন আহমেদের ছেলে সামিন হুসেন জানান আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ হচ্ছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন আমরা সততার সহিত ব্যবসা করি l

আমরা রেশন খাদ্য সামগ্রী বন্টনের ক্ষেত্রে সরকারের যা নিয়ম রয়েছে আমরা সেই নিয়ম অনুযায়ী খাদ্য সামগ্রী গ্রাহকদের মধ্যে বন্টন করে থাকি l আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানো তোর রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সাধারন সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় জানান আজকে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতির প্রিয় মল্লিক জেলে রয়েছেl কেন্দ্রীয় সরকার আজকে ফ্রি রেশন ব্যবস্থা করেছে আর রাজ্য সরকার বলছে সেটি নাকি রাজ্য সরকার দেয় l এই তোলাবাজ সরকারের নিয়ন্ত্রণে সরকারি আমলা থেকে রেশন ডিলাররা মিশে গিয়ে এরকম ভাবে দুর্নীতি করছে l আমরা এর প্রতিবাদ করছি l

সাধারণ মানুষ কে আমরা খাদ্য থেকে বঞ্চিত আমরা হতে দেব না। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের অনেক পড়াশোনা করতে হবে তাদেরকে জানতে হবে যে কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া টাকাতেই এই রেশন ব্যবস্থা দেওয়া হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে রেশন ব্যবস্থা ক্ষেত্রে এরকম রেশন ডিলাররা দুর্নীতি করছে l ভুয়ো রেশন কার্ড তৈরি করছে আর এদের সাথে জড়িত রয়েছে সরকারি দপ্তরের আমলারা l
মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্য পাত্র আশিস কুন্ডু জানান কেন্দ্রীয় সরকারের শত বঞ্চনা থাকা সত্ত্বেও আমাদের মুখ্যমন্ত্রী খাদ্য সাথী প্রকল্পে সাধারণ মানুষকে বেতন সামগ্রী দিচ্ছে। আজকে যারা এই রেশন সামগ্রী বন্টনের ক্ষেত্রে যদি কেউ অন্যায় করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোরতম শাস্তির দাবি জানাবো l

আমরা বলব সঠিক তদন্ত করে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক প্রশাসন l আজকে বিজেপি কি বলছে তাতে আমাদের কোন মাথা ঘামায় না l আজকে খাদ্য সাথী প্রকল্পে বিজেপির নেতারাই লাইন দিয়ে রেশন নিচ্ছে l মালদা জেলা খাদ্য দপ্তরের খাদ্য নিয়ামক শাশ্বত সুন্দর দাস জানান অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে তদন্তে অভিযোগের যদি সত্যতা থাকে তাহলে আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।l