মালদা:- ভুতনিতে বাঁধ নির্মাণের কাজে আবারও বাধা,ক্ষতিপূরণের দাবিতে একজোট হয়ে বিক্ষোভ জমিদাতাদের।স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং গুন্ডাদের সাহায্যে জোরপূর্বক রায়তি জমিতে কাজ করার অভিযোগ।বাধা দিলে মারধর এমনকি পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি।এমনকি প্রশাসনিক বৈঠকে তাদের জায়গায় পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দাদের নিয়ে বৈঠক করার অভিযোগ।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ জেলা প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ।
ভূতনির কেশোরপুর কালুটনটোলা এলাকায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে চলছে প্রায় আড়াই কিলোমিটার নতুন বাঁধ নির্মাণের কাজ।ইতিমধ্যে খাস জমিতে শুরু হয়েছে বাঁধ নির্মাণের কাজ যা প্রায় শেষের দিকে।কিন্তু প্রায় দুই কিলোমিটার রায়তি জমিতে জমিদাতারা ক্ষতিপূরনের দাবীতে অনড় থাকায় শুরু করতে পারেনি কাজ।কিছু দিন আগেই মালদহের জেলাশাসক ও মানিকচকের বিধায়ক সহ অন্যান্য আধিকারিকের উপস্থিতিতে জমিদাতাদের নিয়ে বৈঠকও করা হয়,বের হয় সমাধানও।
দ্রুত জমির ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন খোদ মালদহের জেলাশাসক এবং মানিকচকের বিধায়ক,সম্মতি দেন জমিদাতারা।কিন্তু তারপরেও আজ আবার বিক্ষোভে সামিল তারা। তাদের অভিযোগ তাদের জমি নেওয়া হবে অথচ প্রশাসনিক বৈঠকে আমাদের ডাকা হয়নি জানানো হয়নি,পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দাদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে।
অন্যদিকে তেতরু মন্ডলের রায়তি জমিতে জোরপূর্বক ভাবে কাজ করার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।স্থানীয় তৃণমূল নেতা বীরবল মাহাতো, নানকি মাহাতো সহ বেশকিছু ঠিকাদারের দুস্কৃতীরা তাকে ঘিরে ধরে জমিতে জোরপূর্বক বাঁধ নির্মানের কাজ শুরু করে।প্রানের ভয়ে তিনি আর কোনো প্রতিবাদ করতে পারেননি বলে জানান তিনি।
এই ঘটনার সামনে আসতেই জমি পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।ইতিমধ্যে গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ জেলা প্রশাসনকে ইমেল মারফত অভিযোগ জানিয়েছেন। তারপরও ভয়ের মধ্যে জমি আঁকড়ে ক্ষতিপূরণের দাবিতে অনড় এলাকায় রয়েছেন তারা।