শিকাগো-তে বিবেকানন্দের ঐতিহাসিক ভাষণের ১৩১-তম বর্ষ,আজ ১১সেপ্টেম্বর’২১ : স্মরণ ও শ্রদ্ধা
ভাষণ
তমাল সাহা
আমি এখন আর ময়দানে
নেতাদের ভাষণ শুনতে যাই না।
দুটি ভাষণ শোনার পর
আমি যত ভাষণ শুনেছি,
দেখেছি কোনো নেতাই ভাষণ দিতে
জানেন না,তারা ভাষণ মারেন।
আজকাল জনসভা মানেই
বিশাল বিশাল ব্যানার,
নেতাদের কাট আউট! প্রচারের সে এক এলাহি কাণ্ড !
এতো অর্থ আসে কোত্থেকে কে জানে!
সেখানে মানুষ আসে কি না জানি না,
তবে বাস লরি ম্যাটাডর করে পার্টির লোকজন আসে তা নিশ্চিত।
কলকাতার মিটিংয়ের ব্যাপারটাই আলাদা
রথদেখা-কলাবেচা প্রবাদটি এখানে বাস্তবতা পায়।
মিটিংও শোনা হয়
ভিক্টোরিয়া যাদুঘর চিড়িয়াখানা শেষমেষ কালীঘাটও দেখা হয়ে যায়।
ভাষণমারা সভায় দুটি ঘটনা ঘটবেই,
হয় মণ্ত্রীর মাথা গরম হয়ে যাবে অথবা
মেরাপ ভেঙে শ্রোতারা চাপা পড়বে।
মেদিনীপুরের মাটি
খুদিরাম-মাতঙ্গিনীর মাটি।
বিনপুরের সভায় এক চাষাড়ে
মন্ত্রীজির কাছে
সারের দামবৃদ্ধির অভিযোগ করলে
মাওবাচ্চা বলে গ্রেপ্তার হয়ে যায় আর মেদিনীপুর কলেজ মাঠে মন্ত্রীমশাই
টোকা মাথায় গামছা কাঁধে লাঙল হাতে
নকল কিষান সাজলে
লজ্জা ঘৃণায় প্যান্ডেল ভেঙে পড়ে হুড়মুড়িয়ে,মানুষ চাপা পড়ে।
আমি বিবেকানন্দের শিকাগো ভাষণ শুনেছি
আমি নেতাজির বেতার ভাষণ শুনেছি।
আমি এখন আর
ময়দানে ভাষণ শুনতে যাই না
কারণ এখনকার নেতারা ভাষণ দেন না ভাষণ মারেন।
তুমি যতোই ‘মিঁতরো’ উচ্চারণ করো
দোয়া আর প্রণাম-কে মিশিয়ে
খিচুড়ি বানাও
মানুষ বোবা হতে পারে কখনোই বোকা নয়,সে ধান্দাবাজদের চেনে।
তোমার কণ্ঠ দিয়ে সেই উদাত্ত
আকাশ বাতাস মথিত ধ্বনি
কিছুতেই উচ্চারিত হতে পারে না—
তুমি আমায় রক্ত দাও, আমি তোমায় স্বাধীনতা দেবো অথবা সেই সর্বজনীন সার্বজনীন স্বরের সুরধ্বনি—
আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা..