অবতক খবর , সংবাদদাতা :: ভাটপাড়া অবজার্ভারের দায়িত্ব পেয়েই সুবোধ অধিকারী ভাটপাড়ার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন। তিনি এই বৈঠক,হালিশহর মঙ্গলদীপ, তার বাসভবনে করেন। এই বৈঠকে আমন্ত্রিত ছিলেন ভাটপাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টির চেয়ারম্যান ধর্মপাল গুপ্তা।তাছাড়া ছিলেন ভাটপাড়ার দুই তৃণমূল সভাপতি জিতেন্দ্র সাউ ও টিঙ্কু ঘোষ ।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অঞ্চলের দুই কনভেনার সোমনাথ শ্যাম ও জনক চৌধুরী।
ভাটপাড়ার এই বিধানসভার পাঁচ নেতাকে নিয়ে তৃণমূলের জেলার সাধারণ সম্পাদক ও ভাটপাড়া নবনিযুক্ত অবজার্ভার বৈঠকে করেন ও প্রত্যেকের কাছে ভাটপাড়ার সামগ্রিক অবস্থা জানতে চান। তবে বৈঠক শুরুর আগেই তিনি একটি কথা প্রত্যেকের কাছে পরিষ্কার করে দেন যে ভাটপাড়া তে গোষ্ঠীবাজি বা গোষ্ঠীর রাজনীতি তিনি কিছুতেই পছন্দ করছেন না ও মেনেও নেবেন না। যারা-যারা আলাদা আলাদা গোষ্ঠী নিযে রাজনীতি করছেন তারা বিরত হয়ে যান অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বৈঠকে ভাটপাড়ার পার্টির চেয়ারম্যান ধরমপাল গুপ্তা ভাটপাড়ার সামগ্রিক অবস্থা তুলে ধরেন। তিনি পরিষ্কার জানান যে প্রত্যেকেই এক একজন এক একটি গোষ্ঠী করে রেখেছেন। আর কেন্দ্রীয়ভাবে তারা সকলেই পার্টির নির্দেশকে কোন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। অনেক বেশি নেতা হওয়াতেই এখানে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তবে ভাটপাড়া র অবস্থা আগে থেকে অনেক ভাল রয়েছে।মানুষ তৃণমূলের পক্ষেই আছেন। এছাড়াও পাঁচজনই একে একে করে তাদের অভিজ্ঞতা থেকে পার্টির অবস্থা ব্যাখ্যা করেন।
ভাটপাড়ার নবনিযুক্ত অবজার্ভার বৈঠকে পরিষ্কার আরো জানান যে এই এলাকায় যেকোনো মূল্যে অর্জুনের হাত থেকে মুক্ত চাই। এই এলাকা তৃণমূলের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতেই হবে ।আর তার জন্য যা যা করা দরকার তাই তাই করা হবে। তিনি পাঁচ নেতাকে পরিষ্কার জানান এই এলাকাকে অর্জুন এর হাত থেকে শুধু মুক্ত করা নয় 2021 এ নির্বাচনে তার ছেলের হাত থেকে বিধানসভা কে ছিনিয়ে নিতে হবে। সুবোধ জানান অর্জুনকে এই এলাকায় রাজনৈতিকভাবে একেবারে কোণঠাসা করে দিতে হবে, শেষ করে দিতে হবে।
গোষ্ঠী বাজি নয়, নেতাগিরি নয়, কর্মী হয়ে কাজ করতে নির্দেশ
সুবোধ অধিকারী জানান ভাটপাড়া এলাকায় আলাদা আলাদা ভাবে সকলে নেতা হয়ে উঠেছেন কিন্তু নেতা হয়ে নয় কর্মী হয়ে সকলকে কাজ করতে হবে মিলিতভাবে। সুবোধ জানান ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। তাদের অভাব অভিযোগ শুনে তা দূর করার চেষ্টা করতে হবে। যারা এই কাজে সক্ষম হবেন তাদের পাটিঁতে পুরস্কৃত করা হবে অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে দল।
সুবোধ এই পাঁচ স্থানীয় নেতৃত্ব কে জিজ্ঞাসা করেন কোন কোন জায়গায় মূল সমস্যা আছে? এলাকায় কারা কারা মানুষকে ডিস্টার্ব করছেন ? কাদের জন্য মানুষের মনে ক্ষোভ আছে । সকলকে স্ক্রীনিং করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকার জুট মিল শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ভাবনা
সুবোধ অধিকারী অবতক খবরকে জানান শ্রমিকদের জীবন জীবিকা উন্নয়নের জন্য কাজ করবে দল। যারা যারা তাদের শোষণ করছেন যারা শ্রমিকের পয়সা মেরে দিচ্ছেন তাদের তিনি ছেড়ে কথা বলবেন না । তারা যদি তাদের দলের সদস্য হন তাদের কিন্তু রেহাই দেবেন না তিনি ।এছাড়া তিনি বলেন তিনি শুনেছেন অর্জুন এলাকার শ্রমিকদের প্রচুর পয়সা মেরে দিচ্ছেন ।শ্রমিকদের বকেয়া পড়ে আছে ,পারছে না তাদের হকের টাকা তাদর হয়েও কিন্তু এবার হিসাব নেওয়ার সময় এসে গেছে। তিনি হিসাব নেবেন।









