অবতক খবর,৯ মার্চ: রাত পোহালেই রবিবার ব্রিগেড প্যারেড ময়দানে তৃণমূল কংগ্রেসের জনগর্জন সভা। এই সভাকে ঘিরে প্রায় ৪০০০ পুলিশ ফোর্স রবিবার সকাল থেকে রাস্তায় নামছে । শনিবার দুপুরে ব্রিগেডের মূল মঞ্চ সহ পাশাপাশি যেসব এলাকা গুলিতে আমন্ত্রিত নেতারা বসবেন সেখানে গোয়েন্দা কুকুর নিয়ে গিয়ে ব্যাপক তল্লাশি চালায় বম্ব স্কোয়ার্ড । ব্রিগেডের মূল মঞ্চসহ গোটা মাঠ ঘিরে নিরাপত্তার জোরদার করতে ৫৬ টি সেক্টরে পুলিশ কর্মীদের বলবৎ করা হবে।

সাদা পোশাকে পুলিশের নজরদারির জোরদার করা হয়েছে। খাচ্ছে ব্রিগেডের জনসভার ওপর নজর রাখতে আশেপাশের উঁচু বাড়ি থেকে শক্তিশালী দূরবীনে নজরদারি ও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা এবং ড্রোনের নজরদারি। মহিলা পুলিশ কর্মী ও নামানো হচ্ছে যথেষ্ট। যান চলাচল শহরে অক্ষুন্ন রাখতে ট্রাফিক পুলিশ কর্মীদেরও ধর্মতলা সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় মোতায়ন করা হচ্ছে। ব্রিগেডের মাঠে যারা বিভিন্ন গাড়িতে করে সবাই যোগ দিতে আসবেন তাদের নির্দিষ্ট প্রাচীন জুন থাকছে আউট ট্রাম ঘাট রোড ,স্ট্যান্ড রোড , রেড রোড এলাকায়।জনগর্জন সভায় এবারে বিশেষ চমক তৃণমূলের। যে নির্বাচিত ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের অংশে সভা করা হচ্ছে তাকে বেশ কতগুলি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। মঞ্চ এবং ডি জোন বাদ দিয়ে প্রায় ৫০টির কাছাকাছি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে গোটা মাঠকে। যেখানে কর্মী ও সমর্থকরা থাকবেন। মোট তিনটি মঞ্চ প্রস্তুত করা হচ্ছে।

মূল মঞ্চের বাম দিকে এবং ডানদিকে দুটি ছোট মঞ্চ থাকবে। মূল মঞ্চের ঠিক সামনে দিয়েই একটি সিঁড়ির মাধ্যমে কানেক্ট করা হচ্ছে দীর্ঘ র‍্যাম্প। প্রায় ৩৪০ ফুটের এই RAMP সোজাসুজি পৌঁছে যাচ্ছে কর্মী সমর্থকদের মাঝে। মূল মঞ্চ থেকে প্রায় ১৫০ ফুট পরে টি আকারে আরো দুটি RAMP মঞ্চের বাঁ দিক এবং ডানদিকে থাকছে। মূলত তৃণমূল সুপ্রিমো যাতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এবং সাধারণ মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে অভিনন্দন জানাতে পারে তার জন্যই টিকেটের মাঠে এই প্রথমবার এই ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে এই র‍্যাম্প ঘিরে থাকছে পৃথক পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

ব্রিগেডের মাঠে কলকাতা পুলিশ কমিশনার দিনের কুমার গোলসহ অন্যান্য আধিকারিকরা ঘুরে দেখে গোটা নিরাপত্তা ব্যবস্থাটি খতিয়ে দেখেন। ব্রিগেড এর মূল মঞ্চের পেছনে অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুম গড়ে তোলা হচ্ছে। যেখান থেকে ড্রোন ও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় নজরদারি চালাবেন পুলিশ অফিসাররা।