অবতক খবর,৬ জানুয়ারি: দিন যাচ্ছে যত উন্নতি হচ্ছে ততো ধ্বংসের মুখে যেতে চলেছে যুব সমাজের ছেলেমেয়েরা। বিভিন্ন নেশায় আসক্ত হচ্ছে ছেলেমেয়েরা। বিশেষ করে মারাত্মক নেশায় পরিণত হয়েছে ব্রাউন সুগার ও গাঁজার নেশা। রাজগঞ্জ ব্লকের রাজগঞ্জ থানা সংলগ্ন এলাকায় এই নেশাখোরদের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। এলাকাবাসী থেকে শুরু করে নেতা নেতৃত্বরা সকলেই এর জন্য দায়ী করছেন পুলিশ প্রশাসনকেই। আর নীরব দর্শকের ভূমিকা রয়েছে প্রশাসন।

রাজগঞ্জ বাজার ব্যবসায় সমিতির সভাপতি জানান দীর্ঘ বহুবার থানা পুলিশকে জানিয়ে কোন কাজ হয়নি। কারণ তারা কোনো রকম সেসব বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে না। যদি এভাবে চলতে থাকে তবে যুবসমাজ ধ্বংস হতে চলেছে। এলাকায় চলা দূর সহায় হয়ে উঠবে। আর এই ব্রাউন সুগারের নেশাতে আসক্ত হয়ে কম বয়সী যুবকেরা নানান দুষ্কর্ম করে বেড়াচ্ছে। আমরা দীর্ঘ বার প্রসাসনকে জানিয়েছি কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থায় নেয়নি।

ব্যবসায় সমিতির সম্পাদক জানান এই নেশায় আসক্ত হয়ে সমাজকে ধ্বংস করছে যুবকেরা। এখনো সময় আছে পুলিশ যদি সঠিকভাবে ব্যবস্থা নেয় তবে হয়তো কিছুটা শুধরানো যাবে নয়তো এই সুন্দর রাজগঞ্জ ব্লকে চুরি ডাকাতি ছিনতাই এর পরিমাণ আরও বাড়বে। প্রশাসনকে দীর্ঘবার জানিয়েছি কিন্তু তারা সঠিকভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে না। নিচ্ছ না কোন ব্যবস্থা। যে সমস্ত এলাকা থেকে এই ব্রাউন সুগার মাদক জাতীয় নেশা দ্রব্য আছে সে সমস্ত জায়গায় প্রশাসন তাদের সোর্স লাগে খুব দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার না করলে হয়তো একদিন কালে এই রাজগঞ্জ ধ্বংসের মুখে চলে যাবে।।

রাজগঞ্জ ব্লক জুড়েছে নেশার কারবার চলছে সে কথা স্বীকার করে নিয়েছে তৃণমূল ের রাজগঞ্জ ব্লক সভাপতি অরিন্দম ব্যানার্জি তিনি বলেন শুধু রাজগঞ্জ থানার চত্বরী না রাজগঞ্জ ব্লক জুড়ে এই মারাত্মক নেশায় আসক্ত হয়েছে হাজার হাজার যুবক। দীর্ঘ বার আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি কিন্তু কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। নেশায় আসক্ত হয়ে বহু যুবক নানান দুষ্ককর্ম করেছে । আমরা বেশ কয়েকজন যুবককে রুমে রেখে শুশোসা করেও নিয়ে এসেছি। অনেক ভালো ভালো খেলোয়াড় এই নেশায় পড়ে শেষ হয়ে গেছে। আমরা দীর্ঘ বার পুলিশকে আবেদন জানিয়েছি তবে কোন কাজ হয়নি। আদৌ কি কাজ হবে সেই নিয়ে চিন্তায় রয়েছি?