অবতক খবর,২৮ আগস্ট,নদীয়া:- সামনেই গণেশ চতুর্দশী, কলকাতা নিবাসী সায়ক রাজ শান্তিপুরের মৃৎশিল্পী সৌরাজ বিশ্বাসের কাছে, তিন ফুট উচ্চতার একটি গণেশ মূর্তি অর্ডার দেন মাসখানেক আগে। ওই মূর্তি সম্পূর্ণ হওয়ার পর আজ, বিকাল তিনটে চল্লিশ মিনিটের ডাউন শান্তিপুর শিয়ালদহ লোকালের দ্বিতীয় ভান্ডারে মৃৎশিল্পী সৌরাজ বিশ্বাসের কর্মচারী তাপস পাল এবং ওই মূর্তির টিকিট নিয়ে ট্রেনে ওঠেন কলকাতার উদ্দেশ্যে।

সে সময়ে ভান্ডার কম্পার্টমেন্টের কোন বাধা না আসলেও ট্রেন ছাড়ার পরেই, ৩-৪ জন ছানা ব্যবসায়ী কর্মচারী তাপস পালকে পরবর্তী স্টেশন বাথনা তে মূর্তি সমেত নেমে যাওয়ার জন্য উৎপিড়ন করতে থাকে। উপযুক্ত টিকিট থাকা সত্ত্বেও কেন নামবে সে! বাক বিতান্ডা শুরু হয়, অবশেষে ৩-৪ জন মিলে প্রহার করে ঠেলে নামিয়ে দেয় তাপস পালকে, টেনে হিঁচড়ে গণেশ মূর্তিও নাবিয়ে দেওয়া হয় যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওই মূর্তির একটি অংশ। এ বিষয়ে সারা ভারত অনুন্নত কুম্ভকার সমিতির নদিয়া জেলার সভাপতি মুন্না পাল রানাঘাট আরপিএফ শান্তিপুর আরপিএফ এবং শান্তিপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন উপযুক্ত দোষীরা শাস্তি না পেলে, আগামী দিনে গণ-আন্দোলন গড়ে উঠবে। মৃৎশিল্পীরা এখন সংঘবদ্ধ, উপযুক্ত টিকিট কেটে ভান্ডারে যাওয়ার অধিকার সকলেরই আছে। তবে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে, সাথে সাথে বিষয়টি জানানো হয়েছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য জোরালো দাবি রাখি সংগঠনের পক্ষ থেকে।

পরবর্তীতে পাঁচটা দশের ডাউন শান্তিপুর লোকালে , শান্তিপুর আরপিএফ এর সহযোগিতায় এবং হকার ইউনিয়নের সহযোগিতায় আবারো কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন সিদ্ধিদাতা গণেশ । তবে ছানা ব্যবসায়ীদের কতটুকু সিদ্ধি দিতে পারবেন তা এখন প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড়িয়ে।