অবতক খবর,২৩ মার্চ: আজ ২৩ শে মার্চ রবিবার লালবাগ মহকুমা হাসপাতালের সামনে থেকে বেঙ্গল কেমিস্ট্যান্ট ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে জাল ওষুধের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করতে এক বর্ণাঢ্য রেলি শহর পরিক্রমা করে। লালবাগ মহকুমা হাসপাতালের পাশে জাল ও ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে এক পথ সবার আয়োজন করা হয় এই পথসভা থেকে বিভিন্ন বক্তারা তারা বলেন যে আজ বহু ঔষধ ব্যবসায়ী প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য ঔষধ এর উপর ছাড় দিচ্ছে, এর ফলে সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ওষুধ ব্যবসায়ীরা, তাদের ব্যবসাকে রমরমিয়ে বাড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে তারা আরো বলে জাল ওষুধ চেনার উপায় মানুষের জানা নাই এমনকি ওষুধ ব্যবসায়ীদেরও। জাল ওষুধের তালিকা সমস্ত সরকারি হাসপাতাল সেন্টাল মেডিকেল স্টোর পাইকারি বিক্রেতা এবং ডিস্ট্রিবিউশনকে নির্দেশিকা দিয়ে জানাতে হবে রাজ্য কন্ট্রোলকে যাতে এই জাল ঔষধ কোথাও ব্যবহার করা না হয়। এগুলি আইন সবই আছে কিন্তু কার্ড যে পরিণত কিছুই হয় না যার ফলে শহরের বুকে রম রোমিয়ে অবৈধ নার্সিংহোম, সেগুলি ধরা পড়ছে শুধু তাই নয় কিছুদিন আগে ভুও ডাক্তার টাও ধরা পরল কিন্তু এত কিছু ধরা পড়ার পরও কিছুই থেমে থাকেনি।
বেঙ্গল কেমী স্ট্যান্ড dragist association এর পক্ষ থেকে বলা হয় যেসব ওষুধ বিগত তিন মাসে গুণমান পরীক্ষায় ফেল করেছে এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক সংস্থা তৈরি ওষুধ আছে সেই সব ঔষধের তালিকা দোকানে ঝুলাতে হবে এবং আচমকা রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসার কে আচমকা দোকানে পরিদর্শন করতে হবে। যদি কোন দোকানে গুণমানের ফেল করা ওষুধ পাওয়া যায়। তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
তারা আরো জানান বেশ কিছু ডাক্তারদের প্রাইভেট চেম্বারে ডাক্তাররা প্রেসক্রিপশন লেখার পর সেই ওষুধ তাদেরই কিছু লোকজন দোকান থেকে কিনে এনে দিচ্ছে ঠিক যেন দুয়ারে ওষুধ, এর ফলে মানুষ বুঝতে পারছে না যে তারা কত শতাংশ ছাড় দিয়ে সঠিক ওষুধ পাচ্ছেন কিনা। এদিন সাংবাদিকদের সামনে বিসিডি এর পক্ষ থেকে বলা হয় মানুষ সস্তায় ওষুধ কিনুক তাতে কোন অসুবিধা নাই কিন্তু সেটা কখনোই তার গুণগতমানের সঙ্গে আপোষ করে নয়।