অবতক খবর,১৫ নভেম্বর: উপদ্রুত এলাকায় এখনও কোনো দলকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি—-

রাজ্যে এই ঘটনা নতুন নয়। নানুর লালগড় সহ একাধিক জায়গায় হয়েছে। সিপিএম এর আমলে হয়েছে। তারপরেও চলছে। নেতারা যাচ্ছেন। ফটো তুলছেন। ঘটনা গুলো কেনো বন্ধ করা যাচ্ছে না? সেটা নিয়ে কেউ ভাবছে? তৃণমূল সেই একই রাজনীতি করছে। নিরীহ মানুষ ঘর ছাড়া। চাপান উতর চলছে। এর পরিবর্তন হবে কি? এগুলি খবর হিসেবে ভালো। কিন্তু মানুষ এভাবে কতদিন মার খাবে?

*৩ দিন ধরে গ্রামছাড়া মানুষ*

আপনি ৩ দিন বলছেন? ৩ বছর ধরে আমাদের কত লোক গ্রাম ছাড়া? সেই ২০২১ এর বিধানসভা ভোটের পর থেকে। পশ্চিমবঙ্গে এটাই বাস্তব রাজনীতি। আমরা এর পরিবর্তনের জন্য লড়াই করছি।

*গোটা ইস্যুর রাজনীতিকরন*

বগটুইতে একই ঘটনা ঘটেছিল। গুন্ডা মস্তানদের তৃণমূল নেতা বানিয়ে দিয়েছে। তারা জনরোষে মারা গেলে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের এই রাজনীতির বিসর্জন দরকার।

*বাবুলের কটাক্ষ দিলীপকে*

আমি কাউকে টার্গেট করি না। ওনার কি প্রাসঙ্গিকতা আছে? কোনো দিন ছিল? বিজেপি ওকে মন্ত্রী বানিয়েছিল। এখানে এসে ভাষণ দিত। দলের জন্য ও কি করেছে? আমাদের এতো কর্মী মার খেয়েছে। কারুর বাড়ি গেছে? কাউকে দুটো পয়সা দিয়ে সাহায্য করেছে? দিলীপ ঘোষের সঙ্গে লড়াই করতে আসবেন না। দিলীপ ঘোষ মাটিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছে। এখনও করছে। আপনি করে খাচ্ছেন। নিজের সুবিধার জন্য অন্য পার্টিতে চলে গেছেন। কাল আবার অন্য পার্টিতে চলে যাবেন। ওনাকে কে মনে রেখেছে? যে পার্টির নেতা, সেই পার্টি এলাকায় ঢুকতে দেয় না।

*আদানির বিরুদ্ধে মহুয়ার তোপ। অথচ বিজিবিএসে আসবেন আদানি বলছেন শিল্প মন্ত্রী*

এটা দ্বিচারিতা। কংগ্রেস সরকার চলে এমন রাজ্যে তাকে ডেকে ডেকে শিল্পের বরাত দেওয়া হচ্ছে। উনি সফল শিল্পপতি। তার থেকে সুবিধা নেব। আবার তাকেই গালাগাল দেব? আদানিকে না ডাকলে সামিট হবে না। পোর্ট এর কাজ হবে না। মানুষ এগুলো বোঝে। পাত্তা দেয় না। ভোটের আগে স্টান্ট দেওয়ার জন্য এগুলো ভালো। একে গালাগাল দিয়ে কার লাভ হচ্ছে? যারা টাটা কে তাড়িয়ে দেয়, তারা এসব বলে। এসব দিয়ে আর চলবে না। ভারতবর্ষ পাল্টে গেছে।

*আজ মুম্বইয়ে মহারণ*

যে দেশে বিশ্বকাপ হয় সেই দেশ সব সময় ফেভারিট থাকে। এখন ভারতের টিম বিশ্বে ১ নম্বর। সামনে আর কোনো টিম নেই। তবে ক্রিকেট অনিশ্চিত খেলা। নক আউটে মাঝেমাঝে ভারতের পারফরম্যান্স একটু গড়বড় হয়। তবে যে পারফরম্যান্স দেখাচ্ছি, তাতে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল দুটোই জেতার আশা রাখা যায়।

*ভাই ফোঁটার দিন এ রাজ্যের সবার যিনি দিদি, তাঁর উদ্দেশ্যে কি বলবেন?*

দিদি হিসেবে উনি আমাদের সবার অভিভাবক। আশা করব, সবার দিকে তাঁর সমান দৃষ্টি থাকবে। পশ্চিমবাংলাকে উনি সুরক্ষিত করবেন। যাতে সব ভাই বোন একসঙ্গে থাকতে পারে। যারা আজকে রাস্তায় বসে আছে, যারা ডিয়ের জন্য আন্দোলন করছে, তারাও তো ওনার ভাই। কমপক্ষে আজকে তাদের সবার কথা উনি ভাবুন।