আমার তো মাথায় বাজ। টুকুন বলে কি! বাবা!যারা বুথ দখল করে ওরা প্রেম করে?
মেয়ে বড় হচ্ছে। বলুন তো কি করি!

বুথ দখলকারীর প্রেম
তমাল সাহা

সেদিন আমায় চুমু খেলে
আজ এমন দিলে ধাপ্পা!
এখন বুথে গিয়ে দেখছি
দিচ্ছো ব্যাপক ছাপ্পা।

বাবাকে বোঝালে চাকরি?
ওই তো রাইফেল ফ্যাক্টরি, ইছাপুর
এখন দেখছি রাইফেল নয়,
পিস্তল হাতে দৌড়চ্ছো দিন দুপুর।

তুমি এমন ভুল বুঝোনা সোনা!
নাহলে
সামলাবে কীভাবে সংসারখানা।
সময় সময় এসব করতে হয়।
প্রজন্মের দায়িত্ব নিতে হবে নিশ্চয়।

গণতন্ত্র! গণতন্ত্র! বলো
এটাই তো গণতন্ত্রের পথ।
নাহলে আমাদের মতো মানুষের কীভাবে চলবে সংসার, পেটরুজির রথ?

দলের যদি হয় পরাজয়
অন্ধকার নামতে কি সন্ধ্যা হয়!
হবে কোথা থেকে কামাই?
আর যা করি, হবো না ঘরজামাই।

ভোটে তুমি যতই করো কড়াকড়ি,
নামাবে র‍্যাফ-মিলিটারি?
দল বলে, যদি তুমি না থাকো তৈরি
কী করে পার হবো ভোটের তরী?

তুমি তো জানো,
একবারেই লেগেছিল ঘোর।
তোমায় কতো ভালোবাসি,
কী শরীর তোমার!
সলমনের মতো দুহাতের পেশী!

তখন কি জানতাম, হায়!
এই পেশী লাগে ভোটে।
কত খুনের কত দাম মেলে
এই রাষ্ট্রীয় নোটে?

আমি যে তোমায় খুব জানি।
ছেড়ে দাও এসব গুন্ডা-মস্তানি।
প্রজন্ম বলবে, বাবা তার খুনি!
পিতামাতা হয়ে একথা শুনি?
চলো,অন্য কোথা চলে যাই
দিন আনি দিন খাই।

যেদিন তুমি ভালোবেসেছিলে
হাতে তুলে দিয়েছিলে গোলাপের তোড়া।
আজ আমার ভালোবাসার মানুষ!
হাতে দেখি শানিত ছোরা?

পিস্তল ধরে তুমি কি পাও?
ওসব মারণাস্ত্র ছেড়ে দাও।
ওটা হতে পারে কোনো পেশা?
জড়িয়ে ধরো, জড়িয়ে ধরো আমায়!
বলো,বলো,কী পাচ্ছো?
পাচ্ছো কি সুখ-ভালোবাসা!