অবতক খবর,৫ মার্চ: পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের ইতিহাসে বীজপুর একটি রেকর্ড করল। প্রার্থী মনোনয়ন হিসেবে এই রাজ্যে এটি একটি বিরল দৃষ্টান্ত।

বীজপুরের অধিবাসী অর্থাৎ হালিশহরের অধিবাসী তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান, জেলা সাধারণ সম্পাদক সুবোধ অধিকারী বীজপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন হালিশহরবাসী উল্লেখযোগ্য চিত্র পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ব্যারাকপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন।

উল্লেখ্য কাঁচরাপাড়া তার জন্মভূমি। লকডাউনের সময় অরাজনৈতিক ভাবে তিনি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র ‘প্রলয়’ শিক্ষক বরুণ বিশ্বাসকে কেন্দ্র করে তার সর্ম্পকে একটি অন্যমাত্রা এনে দিয়েছিল।

কাঁচরাপাড়াবাসী উল্লেখযোগ্য তৃণমূল নেত্রী এবং এসসি/এসটি সেলের সভাপতি আলোরানি সরকার বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি পূর্ববর্তী কালে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে বিধানসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও পরে বিজেপিতে যোগ দেন। গত লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল যখন হতমান তিনি তখন ঝুঁকি নিয়ে তার বাড়িতে রাজ্যনেতাদের নিয়ে সংকট উত্তরণে বৈঠক করেন এবং পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাঁচরাপাড়ায় এসে সমাবেশ করে যান।

সুবোধ অধিকারী বিজেপি দলের প্রথমে থাকলেও পরবর্তীকালে ২৩শে মে ২০১৯-এর পর যখন তৃণমূলের অসংখ্য সদস্য কর্মীরা দলবদল করতে শুরু করেন তখন মমতা ব্যানার্জী সুবোধ অধিকারীকে দায়িত্ব দেন এবং সুবোধ অধিকারীর নেতৃত্বে দলের পুনরুত্থান ঘটে। যে সমস্ত কাউন্সিলররা বিজেপি দলে চলে গিয়েছিলেন,তিনি একে একে সকলকে ফিরিয়ে আনেন। অর্থাৎ সাংগঠনিক দক্ষতায় যে তিনি অত্যন্ত দক্ষ তার প্রমাণ রেখেছেন বীজপুরে।

অর্থাৎ এইবার যে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে তাতে বীজপুর থেকে মনোনীত প্রার্থীরা উল্লেখযোগ্য ভাবে একটি উদাহরণ স্থাপন করেছেন।