অবতক খবর,১৪ মে: এই প্রথমবার বীজপুরে অদ্ভুত এক পরিস্থিতি দেখা গেল। প্রথমত, বীজপুরের ব্যবসায়ীদের জন্য জোর করে একটা সেন্ট্রাল কমিটি তৈরি করে দেওয়া হল। আর এই কমিটি তৈরিতে কোনরকম ভোটাভুটি হয়নি। ফলত, অনেক ব্যবসায়ীরাই আমাদের ফোন করে একটা চাপা ক্ষোভ দেখিয়েছেন। কিন্তু এই কমিটি গঠিত হলেও সেই অর্থে এই কমিটির ভূমিকা চোখে পড়েনি ব্যবসায়ীদের।

এবার কাঁচরাপাড়ার ব্যবসায়ীরা দেখল যে,ক্ষমতার বলে কি না করা যায়! এর আগেও এই বীজপুরের একাধিক নেতৃত্বরা নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু কোন নেতৃত্বই ব্যবসায়ীদের ডেকে মিটিং করেনি।

কাঁচরাপাড়ার ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন যে,’কিছুদিন আগে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ডাকা হয়েছিল। এবার আজ অর্থাৎ ১৪ই মে বাকি সমস্ত ব্যবসায়ীদের ডাকা হয়েছে। আমরা তো ব্যবসায়ী,কোন দলের লোক নই। নেতা, প্রার্থীরা ভোট চাইতে আমাদের কাছে আসবেন। কিন্তু এখানে তা না হয়ে উল্টে আমাদের ডেকে সমস্ত কিছু বুঝিয়ে বলে দেওয়া হবে,এটা তো ঠিক না। এটা তো ক্ষমতার অপব্যাবহার। প্রাক্তন বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়ও কখনও এই কাজ করেননি। এমনকি শুধু ব্যবসায়ী নয়,অন্যান্য ক্ষেত্রে যারা যুক্ত তাদেরও ডেকে পাঠাচ্ছেন তারা। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় ডাকা হচ্ছে।’

ফলত ব্যবসায়ীরা বুঝে উঠতে পারছেন না যে তারা কি করবেন।

এ প্রসঙ্গে প্রার্থী অর্জুন সিং জানাচ্ছেন,ব্যবসায়ীদের ডাকা হচ্ছে তোলা চাওয়ার জন্য। ভোটের খরচা তো তুলতে হবে। এখন বীজপুরের নেতারা প্রার্থীকে সামনে রেখে তোলা তুলছে,অন্যদিকে প্রার্থী নেতাদের সামনে রেখে তোলা তুলছে।

সুতরাং এতে পরিষ্কার বোঝাই যাচ্ছে যে,ব্যবসায়ীরা বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না। তাদের মধ্যে একটা চাপা ক্ষোভ কাজ করছে। তবে প্রকাশ্যে তারা বলতে ভয় পাচ্ছেন।

এর পরিণতি কি হবে তা নির্বাচনের ফলাফল বলবে।