গতকাল গিয়েছে আন্তর্জাতিক বিশ্ব পুরুষ দিবসঃ একটি বিশেষ লিখন

বিশ্ব পুরুষ দিবস সমাবেশ
তমাল সাহা

বিশ্ব শব্দটির বিকল্পে আন্তর্জাতিক শব্দটি বসালে নিজেকে বেশ প্রজ্ঞাবান মনে হয়।

আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস সাড়ম্বের পালিত হলো ক্ষুদিরাম বসু স্টেডিয়ামে। কাতারে কাতারে পুরুষের ভিড়। কে নেই!
ঝরা পাতা- নিও কমিউনিজমের কবি, সমাজের ঝাড়ুদার পাখির চিত্রী, চলমান চিত্রের মানুষজন, খেলোয়াড়। সব বড় মাপের মানুষ, ফুটরুল দিয়ে মাপা যাবে না।

কবিতা বলে, একটা বিশাল সমাবেশ। বেলা পড়ে এলো। এই শেষ সুযোগ। যাও।
তবে হলের মধ্যিখানে বসবে। সবাই যা করবে তুমি তা করবে না।
বাংলা বর্ণমালার কোনো অক্ষরই সোজা নয়, সবই বাঁকা। বিরাম চিহ্নের মধ্যে শুধু দাঁড়ি চিহ্নটি সোজা। তুমি কিছুতেই বক্রপথে যাবে না।

গেলাম সমাবেশে। তিনি এলেন। মঞ্চে এসে দাঁড়ালেন, আপনাদের উপস্থিতি দেখে আমি আপ্লুত, আমি কৃতজ্ঞ। আপনারা সকলেই আদর্শবান চরিত্রবান পুরুষ। সমাজকে অনেক কিছু দিয়েছেন।

তিনি মঞ্চে ঢুকতেই সকলে উঠে দাঁড়িয়েছেন এবং দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তার বক্তৃতা শুনছেন।

আমিতো দাঁড়াইনি। বসে আছি। মাঝখানে ঢাকা পড়ে গেছি।
হঠাৎ আমার পাশে একজন বলে উঠলেন, আরে মশাই! আপনি কোন লায়েক, বসে আছেন?

হৈ হৈ পড়ে গেল। আমার মাথা নিচু।আমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে মঞ্চ উঠানো হলো। তখনও আমার মাথা নিচু।
আপনি উঠে দাঁড়ান নি কেন?

আমি সেই আদি অকৃত্রিম বাক্যটি বললাম।
আমাকে বাড়ি থেকে বলে দিয়েছে, সবাই যা করবে তুমি তা করবে না। সবাই-ই তো উঠে দাঁড়িয়েছে। তাই আমি বসে ছিলাম। আমার কি দোষ? সবই বাড়ির দোষ।
তাছাড়া আমি শ্রী,ভূষণ বা বিভূষণ কোনোটাই তো পাইনি উঠে দাঁড়াতে যাবো কেন?

কবিতা আমাকে কখনো শিরদাঁড়া বাঁকানোর শিক্ষা দেয় নি। এমনকি শিরদাঁড়া টান করেই চুম্বন এবং আলিঙ্গনে যেতে বলেছে। তাতে উত্তেজনা ও উত্তাপ দুটোই প্রগাঢ় থাকে।
আমি দেখেছি এটা পরীক্ষিত সত্য।