অবতক খবর, ১৪ নভেম্বর :

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস ২০২২ :

প্রতি বছর ১৪ই নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হয়, স্যার ফ্রেডরিক ব্যান্টিংয়ের জন্মদিনই বিশ্বে ডায়াবেটিস দিবস হিসেবে পালিত হয়। স্যার ফ্রেডরিক ব্যান্টিং ইনসুলিন হরমোন আবিষ্কার করেছিলেনন। বিশেষজ্ঞদের মতে, আজ প্রায় ৪৬৩ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, আর ডায়াবেটিস রোগীদের ৯০% টাইপ-2 ডায়াবেটিস আছে।

বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস রোগ মানুষের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সব বয়সের মানুষ এই রোগের শিকার হচ্ছেন এবং কেউ যদি একবার এই রোগে আক্রান্ত হন তবে তার জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠছে। ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার একাধিক কারণ রয়েছে। অতিরিক্ত মানুসিক চাপ থেকে শুরু করে অগোছালো জীবনযাপন, এছাড়াও একাধিক কারণে এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধে।একবার এই রোগ শরীরে বাসা বাধলে প্রায় সারাজীবনই এই রোগ বয়ে বেড়াতে হয়।

বর্তমানে ডায়াবেটিস পৃথিবীব্যাপী বড় সমস্যা।এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও সম্পূর্ণ রোগ নিরাময় প্রায় অসম্ভব। ডায়াবেটিস রোগ মানুষের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে মানুষের মধ্যে দুই ধরনের ডায়াবেটিস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। যার মধ্যে একটি হল টাইপ ১ ডায়াবেটিস। এই ডায়াবেটিসে ইনসুলিন শরীরে সঠিকভাবে তৈরি হয় না, যার কারণে রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়।ছোট বাচ্চারা থেকে ৩০ বছরের নিচের মানুষরাই এই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। আর টাইপ ২ ডায়াবেটিসে শরীরের কোষগুলি ইনসুলিন ব্যবহার করতে সক্ষম হয় না। সাধারণত পরিণত বয়সের মানুষেরাই এই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস থাকলে তার একাধিক কুপ্রভাব শরীরে লক্ষ্য করা যায়, যেমন রক্তচাপের সমস্যা, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, হার্ট অ্যাটাক, কেটে ছড়ে গেলে সেরে উঠতে অধিক সময় নেওয়া, কিডনির অসুস্থতা প্রভিতি।

সর্বোপরি এই রোগ থেকে রক্ষা পেতে রোগের প্রাথমিক পর্যায় চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন। এছাড়াও এই রোগের প্রাথমিক লক্ষন সম্বন্ধেও সচেতন থাকতে হবে যাতে তৎক্ষণাৎ এই রোগের চিকিৎসার মাধ্যমে রোগকে নিরাময় করা যায়। এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণ গুলি হলো – ক্লান্তি, দুর্বলতা, ঝাপসা দৃষ্টি, অত্যধিক তেষ্টা, ঘন ঘন প্রস্রাব, মুখের আশেপাশে ঘা, দেহের কোনও অংশ কাটাছড়া শুকোতে না চাওয়া ইত্যাদি। এছাড়াও বিভিন্ন ভেষজ খাবার, সবজি, ফল ইত্যাদি নিয়মিত গ্রহণ করলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সমস্যা তুলনামূলক ভাবে হ্রাস পায়। স্বাভাবিক জীবনযাপন অর্থাৎ সঠিক সময় খাওয়া, অতিরিক্ত মানুসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা, সুস্থ জীবনযাপন করা হলে এই রোগকে কিছুটা এড়িয়ে চলা যায়।

আজকের এই বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালনের মূল উদেশ্য হলো মানুষকে সচেতন করে ডায়াবেটিস রোগের বিস্তারকে নিম্নমুখী করে তোলা। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ সবল রাখা ও সচেতনতার বার্তা প্রচারের মাধ্যমে মানুষকে এই দীর্ঘস্থায়ী ডায়াবেটিস থেকে মুক্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।