অবতক খবর,২৮ নভেম্বর: তৃণমূল যুব নেতা বর্তমানে তিনটি মন্ত্রিত্বের পদত্যাগী মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী যে তৃণমূল দলে একটি বিশাল ফ্যাক্টর ছিল তা ইতিমধ্যে প্রমাণিত। ‌তিনি যেভাবে দল থেকে এবং মান সম্মানের দিক থেকে অপমানিত হয়েছেন সেটি ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে।

অদ্ভুতরকম একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তৃণমূল দলের মধ্যে বর্তমানে। এখন বীজপুর তৃণমূল দলে দেখা যাচ্ছে অনেক নেতাই ইঁদুরের গর্ত থেকে মুখ বের করে উঁকি দিয়ে নিজের আধিপত্য জাহির করতে চাইছেন। বীজপুর অঞ্চলে এমন বহু নেতা যারা প্রশাসনিকভাবে কাউন্সিলর ছিলেন এবং স্থানীয় নেতা হিসেবে তৃণমূলের নেতৃত্ব দিতেন তারা ২৩শে মে ২০১৯-এ পুরোপুরি নীল সাদা জামা পাল্টে অর্থাৎ তৃণমূল দল পরিত্যাগ করে তড়িঘড়ি গেরুয়া পোশাক পরিধানে আগ্রহী তো ছিলেনই এমনকি তারা সুদূর দিল্লী পর্যন্ত চলে গিয়েছিলেন এই বিজেপি দলে যোগদান করার জন্য। ‌এই সমস্ত বিশ্বাসঘাতক নেতারাই বর্তমানে দিদির খুব কাছের বলে পরিচিতি দিতে চাইছেন। এরা বলতে চাইছেন, শুভেন্দু অধিকারী চলে গিয়েছেন বা চলে যাবেন তো কি,দিদি আমরা তোমার পাশে আছি, সঙ্গে আছি। এই বার্তাটি দিতে চাইছেন।

এখন প্রশ্ন, তো তারা যদি দিদির সঙ্গেই থাকবেন তবে ২৩শে মে’র পর যে দুর্দিন, যে দুরবস্থার সম্মুখীন তৃণমূল দল হয়েছিল তখন তারা বিজেপিতে তড়িঘড়ি গিয়েছিলেন কেন? তখন তো এই সমস্ত চিন্তা করেননি! এবং এই সব নেতাদের উপর সত্যিই কি বিশ্বাস করা যায়? অঞ্চলে অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে গেরুয়া প্রবাহ চলছে,যদি গেরুয়া শিবির ক্ষমতায় চলে আসে তবে তারা আবার বিজেপিতে চলে যাবেন না এই প্রতিশ্রুতি কি তারা দিতে পারবেন? তারা কি এতই অঙ্গীকারবদ্ধ তৃণমূল কর্মী যে তারা আর দল পরিবর্তন করবেন না?

বীজপুর অঞ্চলে তৃণমূল দলের মধ্যে এই সমস্ত চরিত্রের বহু নেতাকে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে এবং এই সমস্ত কান্ডকারখানা দেখে বীজপুরবাসী কোন শংকিত বা ভাবিত হচ্ছেন না, তারা বরঞ্চ মজাই পাচ্ছেন।