অবতক খবর,১৮ সেপ্টেম্বরঃ এবার বিশ্বকর্মা পুজো এবং গণেশ পুজো, এই দুই পুজো দু’দিন করে পড়েছে। পটুয়ারা অনেক আশা নিয়ে ১৫ই সেপ্টেম্বর বিকেল থেকেই ছোট বড় বিশ্বকর্মা ও গণেশের মূর্তি নিয়ে বসে গেছে কাঁচরাপাড়ার কেন্দ্রীয় অঞ্চল মণ্ডল বাজার সংলগ্ন রাস্তার দুদিকে। ভগবানের মূর্তি বেঁচে পেটের আহার জোগাবে তারা।

জনা আটেক মূর্তি বেচার লোক, তাদের মধ্যে তিনজন পটুয়া,প্রতিমা শিল্পী , নিজেরা মূর্তি বানায়। তারা নিজেরাই মূর্তি বিক্রি করতে আসে বাজারে। কয়েকজন আবার টোটো চালায়। তারা কারিগরের বাড়ি থেকে মূর্তি কিনে নিয়ে আসে। সেই মূর্তি বাজারে বেচে। মূর্তি দেখলে বোঝা যায় কোনটা স্থানীয় কারিগরের মূর্তি আর কোনটা বাইরের কারিগরের মূর্তি। বাইরের কারিগরের মূর্তি একটু ঝিকঝাক। তাদের কাছ থেকে জানতে পারি তারা পটুয়া পাড়া কালীঘাট বিধান নগর বিভিন্ন জায়গা থেকে মূর্তি কিনে আনে।

১৫ তারিখ থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে ১৭ তারিখ রাত একটা- দেড়টা পর্যন্ত বিশ্বকর্মা বিক্রি চলেছে। রাত ঘন হয়ে এলে কম দামে মূর্তি কিনবে বলে অনেক খরিদ্দার আসে। মূর্তি বেচনেওয়ালারা জানালো সেই সময় অনেকেই মদ খেয়ে চুরচুর হয়ে থাকে,যা তা দামাদামি করে, কোন সময় মেজাজ দেখায়। এক বিক্রেতা জানালো খরচাপাতি নিয়ে বিশ্বকর্মার মূর্তি পড়েছে দর ২০০ টাকা। শেষ পর্যন্ত রবিবার রাতে তাঁকে সেই মূর্তি ১০০- ১২০ টাকায় বিক্রি করে দিতে হয়েছে। নাহলে এত মূর্তি নিয়ে সে যাবে কোথায়? ফিরে যাবারও তো একটা খরচা আছে তবুও সব মূর্তি বিক্রি হয়নি। অনেক মূর্তি নিয়ে সে বাড়ি ফিরেছে।

আজ আবার তারা শুধু গণেশ মূর্তি নিয়ে বসেছে। আজ ১৮ তারিখ রাত দশটা পর্যন্ত তাদের তেমন বিক্রি বাট্টা নেই। এক পটুয়া বলেন, তিনি আজকে ২০টি মূর্তি নিয়ে বসেছিলেন এখনো বারোটি পড়ে আছে।
ঘুরে ঘুরে মূর্তি বেচা দেখি লোকে দরদাম করে, বেশি রাতে কম দামে ছেড়ে দিতেই হবে। নাহলে এত মূর্তি আবার ঘরে নিয়ে যাবেন, তারা অনেকেই বললেন মূর্তি নিয়ে ঘরে ফেরা শুভ নয়। মন্দার বাজার। বিশ্বকর্মা বিশ্ব সৃষ্টি করেছেন, কর্মী মানুষ। সেই স্রষ্টাকে বেচে তাদের খেতে হয়। তাও বিক্রি হয় না। গণেশ গণপতি, গণপতি বাপ্পা সিদ্ধিদাতা। তাই তাকে পুজো করবে কে? পুজোই করছেনা মানুষ, মূর্তিই বিক্রি হচ্ছে না তিনি বা সিদ্ধি দেবেন কি করে?