অবতক খবর,মালদা:সানু ইসলাম;২৪জানুয়ারি: বিশেষ ভাবে সক্ষমদের শংসাপত্র নিয়ে জালচক্রের পর্দা ফাঁস।পাড়ায় সমাধান প্রকল্পে পর্দা ফাঁস হলো বিডিওর কাছে।পুলিশের জালে তিন প্রতারক।তাদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশেরই এক হোমগার্ড এবং তার জামাইবাবু যিনি তৃণমূল কর্মী।দীর্ঘ বছর ধরে এই প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিলেন প্রতারকরা বলে জানা গিয়েছে।হাজার হাজার টাকার বিনিময়ে বহু মানুষকে দিয়েছেন জাল শংসাপত্র।

সমগ্র ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল এলাকায়। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর শালদহ গ্রামে পাড়ায় সমাধান প্রকল্পে এই প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস করেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌমেন মন্ডল।এলাকা সূত্রে জানা গেছে ওই প্রকল্পে উপভোক্তারা তাদের সমস্যা নিয়ে এসেছিল।সেই সময় বিশেষ ভাবে সক্ষম কিছু উপভোক্তা ভাতার আবেদনের জন্য শংসাপত্র জমা দেন।সেই শংসাপত্র দেখেই সন্দেহ হয় বিডিওর।তারপর খতিয়ে দেখেই জানা যায় সেই শংসাপত্র গুলি জাল।তারপরেই সামনে আসে ওই চক্রের কুকীর্তি।জানা যায় এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের পারো গ্রামের নুর আলম যিনি মালদা পুলিশ লাইনে হোমগার্ড পদে কর্মরত।তার সঙ্গে রয়েছেন তৃণমূল কর্মী তার জামাইবাবু নাজিমুল হক এবং মামুন আলী নামে এক ছাপা খানা দোকান ব্যবসায়ী।তৃণমূল কর্মী নাজমুল হককে এলাকার মানুষ এলাকায় আটক করে।

তারপরেই তাকে গ্রেপ্তার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।এরপর নুর আলম এবং মামুন আলীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।এলাকা সূত্রে জানা গেছে রশিদাবাদ,তুলসীহাটা ও বরুই গ্রাম পঞ্চায়েত সহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘ বছর ধরে এই জাল চক্র চালাচ্ছিল তারা।হাজার হাজার মানুষ প্রতারিত হয়েছেন এদের কাছে।এমনকি বিশেষ ভাবে সক্ষম নয় কিন্তু ভাতা পাওয়ার লোভ দেখিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে অনেককে জাল শংসাপত্র দিয়েছেন।কারোর কাছে নিয়েছেন ৩ হাজার আবার কারোর কাছে ৮ থেকে ১০ হাজার। মঙ্গলবার ধৃত ওই তিন অভিযুক্তকে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।