অবতক খবর,২৮ জানুয়ারি,বিরাটী : উত্তর দমদমে ফের বসল দুই মনীষীর মূর্তি। প্রাক্তন পৌরপ্রধান তথা বর্তমান কাউন্সিলর সুবোধ চক্রবর্তীর উদ্যোগে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের খলিসাকোটায় বিজ্ঞানাচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু ও ভারতরত্ন ড . এ পি জে আবদুল কালাম- এর মূর্তি স্থাপন করেছে পৌর ওয়ার্ড কমিটি। ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় দুই আবক্ষ মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ক্ষেত্রে একদা ড . কালাম-এর সহযোগী ড. টি পি বাগচী। এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে মুখ্য আয়োজক সুবোধ চক্রবর্তী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড সম্পাদক দুলাল চন্দ্র মন্ডল, সি আই সি সদস্য দেবাশিস ঘোষ, কাউন্সিলর পিংকু কুমার ভৌমিক, সন্ধ্যারানী মন্ডল, সমাজসেবী সুপর্ণা কুন্ডু, শিবু রঞ্জন ভৌমিক সহ অন্যান্য আয়োজক সদস্যবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক চন্ডীদাস কুন্ডু।

সাংসদ বলেন, জগদীশ চন্দ্র বসু ও আবদুল কালাম সমাজসংস্কারক ছিলেন না, কিন্তু তাঁদের গবেষণা ও প্রযুক্তির কৌশল দেশকে দিশা দেখিয়েছে। আচার্য জগদীশচন্দ্র বেতার আবিষ্কার করেছেন ঠিকই কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফল হননি। বিজ্ঞানী মার্কনি সেই কাজে সফল হয়ে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। আবদুল কালাম বিজ্ঞানী ছিলেন না, তিনি উচ্চ মানের প্রযুক্তিবিদ হিসেবে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিশেষ যুদ্ধাস্ত্র মিসাইলের আধুনিকীকরণের বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন।।
ড .টি পি বাগচী স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে আবদুল কালাম- এর ব্যক্তি সত্ত্বাকে তুলে ধরেন। তাঁর মতে প্রযুক্তিবিদ হিসেবে ড . কালাম তাঁর ছাপ রেখেছেন ঠিকই, তবে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ ও সরল জীবনযাত্রার মধ্য দিয়ে দলগত কাজ ও গবেষণাকে উচ্চ মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছেন।

সুবোধ চক্রবর্তী জানান, মূর্তি দুটি প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে ৫ নম্বর খলিসাকোটা মোড়ের নামকরণ হল ‘ বিজ্ঞান মোড়’ হিসেবে। আগামী দিনে অন্যান্য মনীষীদের মূর্তি স্থাপনে তিনি উদ্যোগী হবেন বলে তিনি মতামত ব্যক্ত করেন।