অবতক খবর,১৪ জানুয়ারি: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করার অভিযোগ ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ব্যারাকপুর পুরসভার ৬নং ওয়ার্ডের শ্যামশ্রী পল্লী এলাকা। জানা গিয়েছে শ্বেতা ভট্টাচার্যের সাথে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল শ্যামশ্রী পল্লী এলাকার সুমিত বিশ্বাস নামে এক যুবকের। প্রথমে বন্ধুত্ব পরে প্রেম এই সম্পর্কে ধীরে ধীরে অন্য মাত্রায় পৌছে যায় তাদের।

দুই বাড়ি তরফে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করা হলেও শ্বেতার অভিযোগ তার সাথে সুমিত বিশ্বাস একাধিকবার জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করলেও বর্তমানে সে তাকে বিয়ে করতে রাজি নয়।বর্তমানে সুমিত তার প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করছে।এমনকি সুমিতের অন্য এক জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়েছে। এমনকি শ্বেতার আরো অভিযোগ এর আগেও বহুবার জোর করে সুমিত তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছে এমনকি তাকে মারধোর করেছে।যদিও গোটা বিষয়টি অস্বীকার করেছে সুমিত বিশ্বাস। তার দাবি এরকম কোন সম্পর্ক তাদের মধ্যে ছিল না। আমাকে ফাঁসানোর জন্যই মিথ্যে তত্ত্ব তুলে ধরা হছে।যদিও শ্যামশ্রী পল্লী এলাকার তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখার্জী বলেন, আমি ঘটনাটি আগেই জেনেছি। আমি দুপক্ষ কে নিয়েই আলোচনায় বসেছিলাম। কিন্তু পরবর্তী সময় কেউ আমাকে কোন কথাই জানায়নি। যদিও রীতিমত মান সম্মান খুঁঁইয়ে ঘটনার পরেই প্রেমিকের বাড়ির সামনে এসেই গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে শ্বেতা।স্থানীয় কাউন্সিলরের তৎপরতায় তড়িঘড়ি থাকে ব্যারাকপুর বিএন বস মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়।হাসপাতালে গিয়ে মেয়েটির বয়ান রেকর্ড করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে টিটাগর পুলিশ। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে সুমিত ও তার মা কেই বিশেষ নজরে রেখেছে পুলিশ।