অবতক খবর,৯ মার্চ,মালদা:- করাত মিলে বাবার কাজে সাহায্য করতে গিয়ে মিলের ফিতায় ওড়না পেঁচিয়ে মৃত্যু হল বয়স ১৫ বছরের এক কিশোরীর। মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছে বাবাও। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুরের বনসরিয়া গ্রামে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে,মৃত কিশোরীর নাম খুশি খাতুন। বাড়ি ভবানীপুর গ্রামে। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে।কিশোরীর মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবার।
শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সামনে মাসের ৫ তারিখে রয়েছে পরিবারের বড় মেয়ের বিয়ে। জ্বালানির জন্য বাবা মেরাজুল ইসলাম নিজের করাত মিলে কাঠ চেরাই করছিলেন। সেই কাজে বাবাকে সাহায্য করছিল ছোট মেয়ে খুশি। অসাবধানতাবশত ওড়না পেঁচিয়ে যায় মিলের ফিতায়। মিলে ঢুকে দুমড়েমুচড়ে হাত ও পা ভেঙে যায়।
স্থানীয়রা ছুটে এসে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। মৃতের বাবা মেরাজুল ইসলাম বলেন,বড় মেয়ের বিয়ের জন্য নিজের করাত মিলে জ্বালানির কাঠ চেরাই করছিলাম। ছোট মেয়ে কাঠ ধরিয়ে দিচ্ছিল। সে সময় অসাবধানতাবশত ওড়না পেঁচিয়ে যায় মিলের ফিতায়। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় মেয়ের।চার মেয়ের মধ্যে সে ছিল ছোট।