অবতক খবর,১৩ ডিসেম্বর:মালদা:- এর আগেও বাংলাদেশে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন সংখ্যালঘু হিন্দুরা। সে সময় বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়তে হয়েছিল অগন্তি হিন্দুদের। বর্তমানে তাদের অধিকাংশই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে শরণার্থী হয়েছিলেন সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা তাদের মধ্যে প্রায় পাঁচ শতাধিক শরণার্থী মালদহের পুরাতন মালদহ ব্লকের মুচিয়া অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বসবাস করছেন। বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে তারা খুব চিন্তিত। কারণ একসময় প্রতিবেশী এ দেশটি তাদের বাসস্থান ছিল। বর্তমান বাংলাদেশ সরকার ভারতের সঙ্গে যে শত্রুতার সম্পর্ক গড়ে তুলছে তা মেনে নিতে পারছেন না বাংলাদেশের সেই সময়ের বাসিন্দারা।

ভারত বর্ষ সাহায্যের হাত না বাড়ালে আজকে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না ভারতের ঋণ কখনো বাংলাদেশ ভুলে চলবে না ১৯৭১ সালে পশ্চিম পাকিস্তান এর সৈন্যরা পূর্ব পাকিস্তানের মানুষদের উপর যে অত্যাচার করেছে তা ভুলে গেলে চলবে না সেই সময় পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ এখনকার স্বাধীন বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ ভারতবর্ষে এসেছিল সে সময় ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী শরণার্থীদের জায়গা দিয়েছিল। আজকে অনেকেই এই ভারতবর্ষে বসবাস করছে সে সময় ভারত পাশে না দাঁড়ালে বাংলাদেশ স্বাধীনতার পেত না আজকে ভাবতে লজ্জা লাগছে বাংলাদেশ ভারতের ঋণ ভুলে গেছে বর্তমান বাংলাদেশ সরকার মীরজাফর ভূমিকা পালন করছে l এমনটাই মনে করছেন সেই সময়ের শরণার্থী বর্তমান ভারতের বাসিন্দারা
অশান্ত ওপার বাংলা আক্রান্ত হিন্দু রা ইতি মধ্যেই ভারতবর্ষ জুড়ে এর প্রতিবাদ হচ্ছে হিন্দুরা সনাতনীরা রাস্তায় নেমে এর প্রতিবাদ করছে।

মালদা জেলার পুরাতন মালদা ব্লকের মুচিয়া অঞ্চলের সিনদিয়া, কৈলাসপুর, চর লক্ষীপুর ,মোহনবাগান, নজরপুর ,এলাকা গুলিতে প্রায় ৫০০ পরিবার ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ ছেড়ে তারা ভারতে এসেছিলেন সেই সময় এখানেই তারা বসবাস করছেন। তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাদের এখানে বসবাস করার জন্য অনুমতি দিয়েছিলেন নাগরিকত্ব দিয়েছিলেন। আজকে তারা ভালো আছেন। বর্তমান বাংলাদেশের যে অস্থিরতা চলছে যে অশান্তির পরিবেশ চলছে হিন্দুদের সংখ্যালঘুদের উপর যে আক্রমণ হচ্ছে তা মেনে নিতে পারছেন না তারা। প্রতিবাদ করছেন । বর্তমান ইউনুস সরকার যে হিন্দুদের সনাতলীদের উপর অত্যাচার করে চালাচ্ছে তা অবিলম্বে বন্ধ কর দাবিও জানাচ্ছেন ।