অবতক খবর,২ জানুয়ারি: বছরের দ্বিতীয় দিনেও বাংলাদেশের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন হলো না। জামিন মঞ্জুর করল না চট্টগ্রাম আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে মোট ১১ জন আইনজীবী প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সন্ন্যাসী চিনময় কৃষ্ণ দাসের জামিনের জন্য উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু কৃষ্ণ দাসের জামিন খারিজ করে দেয়া হলো এক মাসের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের সন্ন্যাসী চিনময় কৃষ্ণ দাস জেলবন্দী।
আজ এ বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠকে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন এটা বাংলাদেশের কোর্ট খারিজ করেছে। বাংলাদেশের কোর্ট জামিন দেবেনা সেটা বুঝাই যাচ্ছে বাংলাদেশের আজকের যে সরকার সেই সরকার তো গণতান্ত্রিক সরকার নয় বললেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন এই সরকার মানুষের নির্বাচন দ্বারা গঠিত নয় আমার জানা নেই।
তারা নিজেদের ক্ষমতা কতটা করতে পারে তিনি আরো বলেন যাকেই হোক সে ও বাংলায় হোক আর এ বাংলায় হোক সারা পৃথিবী জুড়ে মানবাধিকার রক্ষা করার জন্য সারা পৃথিবীর যারা গণতান্ত্রিক প্রিয় মানুষ তারা সবসময় দাবি করে থাকে। অধীর বলেন সেই গণতান্ত্রিক প্রিয় মানুষ হিসাবে আমারও দাবি কোন মানুষ না হয় সে ভারতবর্ষেই হোক আর বাংলাদেশেই হোক। অবিচারের যদি শিকার হয় তাহলে খুব স্বাভাবিকভাবে সে দেশের গণতন্ত্র বিপন্ন হবে। অদির এ বিষয়ে বলেন, আমাদের এই রাজ্যে যান দেখবেন বিচারের নামে প্রহসন শয়ে শয়ে নিরপরাধ মানুষকে জেল খাটতে হচ্ছে তৃণমূলের বিরোধিতা করার জন্য। সেই একই জিনিস এখানেও দেখতে পাওয়া যায়। তবুও এখানে বিচার ব্যবস্থা আছে বলেই আজমল কাসাব সে জংলি হামলা করে বোম্বাই ঘটনা ঘটালেও তার হয়ে উকিলনিয়োগ হয়েছিল।
অধীর বলেন, তার ফাঁসি নিশ্চয়ই হয়েছিল। তার জন্য তথ্য প্রমাণ সেখানে মজুদ করা হয়েছিল। আর আজ বাংলাদেশে যার বিরুদ্ধে বিচার হচ্ছে এক সন্ন্যাসী তার বিরুদ্ধে কোন তথ্য প্রমান নাই বলে আমরা শুনতে পাচ্ছি। এ বিষয়ে তিনি বলেন বাংলাদেশের যে সংবিধান বাংলাদেশের যে আইন সেই আইন বলছে একজন ব্যক্তিকে যদি রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করতে হয় তাহলে সেখানে রাষ্ট্র-তার বিরুদ্ধে কেস করে। কিন্তু এখানে রাষ্ট্রদ্রোহিতার কেস করেছে সেখানকার এক পার্টির নেতা।
অধীর এ বিষয়ে বলেন কোথায় তারা রাষ্ট্রদোহিতার মত কাজ করেছেন কোথায় অস্ত্রশস্ত্র এ বিষয়ে আমি কোন কথা বলতে পারব না সেই রাজ্যের সেই দেশের যারা সরকার তারা এ বিষয়ে বলতে পারবেন। আমাদের বক্তব্য সেখানেই যেখানে প্রত্যেক মানুষ হিন্দু হোক মুসলমান হোক বা অন্য কোন ধর্মাবলম্বীর হোক না কেন সে যেন আইনের সুযোগ পায়। তিনি এ বিষয়ে বলেন বাংলাদেশকে এখনো বিশ্বাস করি সে দেশের সংবিধান আছে সেখানে নির্বাচিত সরকার গঠন হয়েছিল আজ হয়তো নেই আগামী দিনে নির্বাচিত সরকারের প্রত্যাবর্তন আমরা চাই।