অবতক খবর,৪ মার্চ, পূর্ব মেদিনীপুর,এগরা: তেইশের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল থেকে বেরিয়ে গিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়াই করা দুই বহিষ্কৃত নেতাকে দলে ফিরিয়ে তৃণমূল।

রবিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ১ ব্লকের আলংগিরিতে ব্লক তৃণমূলের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে পুনরায় দলে ফেরানো হলো দুই নেতাকে বলে ঘোষণা করেন স্থানীয় ব্লক তৃণমূল সভাপতি বিজন বিহারি সাউ।

প্রসঙ্গত, তেইশের পঞ্চায়েত নির্বাচনে এগরা ১ ব্লকের জুমকি গ্রাম পঞ্চায়েতের সুধাংশু জানা ও ইতিষ চন্দ্র দে তৃণমূল থেকে টিকিট পায়নি। ফলে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন দুজন। যদিও কেউই জিততে পারেননি। তৎকালীন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি ও স্থানীয় বিধায়ক তরুণ মাইতির নির্দেশে সেই সময় দুজনকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। কেটে গেছে প্রায় দশ মাস। সুধাংশু এবং ইতিশ দুজনেই পুরোনো দল অর্থাৎ তৃণমূলে ফেরার জন্য আবেদন জানান। সেই আবেদনের ভিত্তিতে এগরা ১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি বিজন বিহারি সাউ এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে দুজনকে দলে পুনরায় যোগদান করানো কথা ঘোষণা করা হয়। উপস্থিত ছিলেন এগরা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অমিয় কুমার রাজ,

দলের ব্লক সাধারণ সম্পাদক অশোক দাস, সহ-সভাপতি প্রভুপদ দাস, উদয়শংকর সর, ইন্দুভূষণ প্রধান, শান্তনু মাইতি, গৌরিশঙ্কর মাইতি প্রমুখ। তবে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির যুবমোর্চার ইনচার্জ অরূপ কুমার দাস। তিনি বলেন, তৃণমূল কাকে কখন কোথায় যোগদান করলো তাতে বিজেপির কিছু যায় আসেনা। তৃণমূল দলটাই চোরের দলে পরিণত হয়েছে। তাই তারা চোরেদেরকেই যোগদান করাচ্ছে।

তেইশের পঞ্চায়েত নির্বাচনে, যারা স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তরুণ মাইতির বিরুদ্ধে টিকিট পাইয়ে দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল তাঁদেরকেই আজ আবার তৃণমূল যোগদান করাচ্ছে। এটাই তৃণমূলের কালচার।পোকা ধান নিয়ে কখনোই ভালো চাল পাওয়া যায়না। শুধু তুষই পাওয়া যায় বলে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা অরূপ কুমার দাস।