অবতক খবর,১৭ নভেম্বর: বহরমপুর দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে অধীর রঞ্জন চৌধুরী। জয়নগরে যখন গন্ডগোল হয় তখন বিরোধী যে দলই হোক সেখানে যেতে গেলে পুলিশে বাধা দান কেন করে। এ বিষয়ে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন আজকেও আমাদের লোকেদের জয়নগরে যাওয়ার কথা তিনি বলেন এটা কিছুই না পুলিশ জানে অন্য দলের নেতা নেত্রীরা সেই এলাকায় যখন প্রবেশ করবে, সেখানকার মানুষ সত্য কথা বলবে আর সত্য কথা বললে সরকারি দলের মুখ পুড়বে। এই সরকারি দলের মুখ যাতে না পুড়ে তার বড় দায়িত্ব পুলিশের তাই পুলিশ বিরোধীদলের ঘটনাস্থলে যাওয়া আশায় বাধা দান করছে।

অর্থাৎ গণতান্ত্রিক অধিকার কে পুলিশ কেড়ে নিচ্ছে। অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অর্থাৎ বালু সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে অধীর বলেন বালুর যা হাল দেখা যাচ্ছে তাতে বানু কিছু বলতে বাকি রেখেছে বলে আমার মনে হয় না। এখন ব্যাপার হচ্ছে ইডিদের কাছে কিছু অজানা তথ্য তো নেই। এখন ইডি ইডিয়েটের মত চলবে? না প্রকৃত অর্থে। অপরাধীদের ধরবে সেটা তাদের উপর নির্ভর করে বললেন অধীর। তিনি আরো বলেন ইডি কতটা পরিমাণ দিল্লির কাছ থেকে গ্রেফতার এবং তদন্ত করার স্বাধীনতা পাবে তার উপর নির্ভর করবে তদন্তের অগ্রগতি। তিনি আরো বলেন চুরি হচ্ছে দুর্নীতি হয়েছে এটা পশ্চিমবঙ্গের সব মানুষ জেনে গিয়েছে, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের লোকেরা দেখতে পাচ্ছে না যে অপরাধীদের শাস্তি হচ্ছে কিনা সেই কারণে আজ সুপ্রিমকোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে।

অধীর বলেন আমরা চাই যে শুধু অপরাধ প্রকাশ হওয়া নয়। অপরাধীদের শাস্তি হওয়া। যাতে আগামী দিনে এই ধরনের অপরাধ করতে অন্তত জনপ্রতিনিধিদের ভয় থাকে। তিনি বলেন এই বাংলায় এখন জনপ্রতিনিধিদের ভয় ধরানো দরকার। অপরাধ জগতের নিয়ম পুলিশ প্রশাসন থাকবে কেন। অপরাধীদের মধ্যে ভয় ঢুকবে। তারা অন্যায় করলে তার জন্য প্রশাসন। তিনি বলেন পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের চুরি করার যে নির্ভিকতা তার বদলে চুরি করতে গেলে যে বিপদ হয় সেই ভয়টা তৃণমূলের চোর জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে প্রবেশ হওয়ার দরকার এটাই অধীর বলতে চাইছেন।