অবতক খবর,১৫ সেপ্টেম্বরঃ ফাঁসির দড়ি হাসতে হাসতে যারা গলায় পড়েছিলেন তাঁদের অদম্য জেদ আর লড়াই-ই আজ আমাদের স্বাধীনতা এনেছে। এই বিপ্লবীদের নাম উঠলে যাঁর কথা অন্যতম হয়ে উঠে আসে তিনি হলেন বিপ্লবী দীনেশচন্দ্র মজুমদার। ১৯৩৪ সালে কলকাতার সেন্ট্রাল জেলে ফাঁসির দড়ি গলায় পড়েছিলেন তিনি। বিপ্লবী দীনেশচন্দ্র মজুমদারের জন্ম উত্তর চব্বিশ পরগণার বসিরহাটে। তার পিতার নাম পূর্ণচন্দ্র মজুমদার। ১৯২৮ সনে বি.এ. পাশ করে আইন শিক্ষা শুরু করেন। আই.এ. পড়ার সময় যোগাভ্যাস করতেন, পরে সিমলা ব্যায়াম সমিতিতে লাঠি ও ছোরা খেলা শিক্ষা করেন। স্বাধীনতা সংগ্রামী শহীদ দীনেশচন্দ্র মজুমদারের বসিরহাটের সেই স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করার দাবিতে সোচ্চার হলো বসিরহাটের নাগরিক সমাজ। উল্লেখ্য বিপ্লবী অনুজাচরণ সেনের মাধ্যমে যুগান্তর বিপ্লবী দলে যোগদান করেন দীনেশচন্দ্র। ১৯৩০ সালে অনুজাচরণ সেন ও দীনেশচন্দ্র মজুমদার অত্যাচারী কুখ্যাত চার্লস টেগার্ট-এর গাড়ীতে বোমা নিক্ষেপ করেন। টেগার্ট বেঁচে যান কিন্তু দীনেশ মজুমদার ধরা পড়েন। অনুজাচরণ ঘটনাস্থলেই মারা যান। বিচারে দীনেশ মজুমদারের যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর দণ্ড হয়।
বসিরহাটের নিমতলা এলাকায় শহীদ দীনেশ চন্দ্র মজুমদারের বাড়িটির আজ বেহাল দশা। বাড়িটির চারিপাশ থেকে খসে পড়ছে প্যালেস্তরা, গর্জে উঠেছে গাছপালা। বসিরহাট টাউন হলের সামনে দীনেশচন্দ্র মজুমদারের একটি অবক্ষ মূর্তি সেটিও কার্যত অনাদরে পড়ে আছে।
সম্প্রতি শহীদ দীনেশ মজুমদার স্মৃতি রক্ষা কমিটি এবং বিদ্যাসাগর চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে নাগরিক সবার আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন শহীদ দীনেশ চন্দ্র মজুমদারের বংশধর দিলীপ মজুমদার, বসিরহাট পৌরসভার উপ পৌর প্রধান সুবীর সরকার, বিশিষ্ট সমাজসেবী অজয় বাহিনী সহ একাধিক শিক্ষক ও অধ্যাপক।