অবতক খবর , পিন্টু প্যাটেল , বর্ধমান :- পুলিশের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়ার মামলায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সংসদ সদস্য দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারী হওয়ায় ,বৃহস্পতিবার বর্ধমান আদালতে হাজির হলেন দিলীপবাবু।
এদিন দুপুর ১টা ৫৯নাগাদ বর্ধমান শহরের উল্লাস মোড় থেকে মিছিল করে দিলীপবাবুকে বর্ধমান আদালতে নিয়ে আসেন দলীয় সমর্থকরা।তার আগে থেকেই পুলিশ লাইনে রাখাল পিড়তলা এলাকায় পুলিশ ব্যারিকেট দিয়ে ঘীরে রেখেছিলো একে একে গাড়ি পাশ করছিল দিলিপ ঘোষের গাড়িও পাশ হয় ।তারপরেই বর্ধমানের কার্জনগেট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিজেপিকর্মী সমর্থকদের ধস্তাধস্তি হয়।
যদিও কোর্ট চত্ত্বরে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিলো এদিন ।উল্লেখ্য এই মামলায় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে পলাতক দেখিয়ে আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।
অপরদিকে, এর আগে শক্তিগড়ে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া ও কর্তব্যরত অবস্থায় হামলা চালানোর দু’টি মামলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে পুলিশ। সেই দু’টি মামলা অবশ্য উত্তর ২৪ পরগণার বারাসতে বিশেষ আদালতে বিচারের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে,২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর রায়না থানার সেহারাবাজারে সি কে ইনস্টিটিউশন মাঠে বিজেপির সভা ছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দিলীপবাবু বলেন, ‘তাঁবেদারি না করলে পুলিশের চাকরি মেলেনা। টাকা না দিলে পুলিশের চাকরি মেলেনা। প্রমোশনের জন্যও টাকা দিতে হয়। এসপি থেকে ওসি পর্যন্ত সবাইকে টাকা তুলতে হয়। সেই টাকার বান্ডিল কালীঘাট পর্যন্ত যায়।’ এ ধরণের আরও কিছু মন্তব্য করেন তিনি।
ঘটনার বিষয়ে সেহারাবাজার ফাঁড়ির এক পুলিশ কর্মী অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, এ ধরণের মন্তব্যের ফলে পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। কটূক্তি ও নোংরা ভাষা প্রয়োগের ফলে সাধারণ মানুষের কাছে পুলিশের সম্পর্কে ঘৃণা তৈরি হয়েছে। ঘটনার পর মানুষ পুলিশ সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩, ৫০৪ ও ৫০৫(১) ধারায় মামলা রুজু হয়।
তদন্ত সম্পূর্ণ করে এ বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি চার্জশিট পেশ করেন সেহারাবাজার ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ উত্তাল সামন্ত। বিজেপির রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। সেই আবেদন মঞ্জুর করেন সিজেএম।